Advertisment

বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? মহাসংকটে কমলনাথ সরকার

পদ্ম প্রতীকে রাজ্যসভার টিকিট চূড়ান্ত হলেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

কংগ্রেস ত্যাগের পর সম্ভবত বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার টিকিট পেতে পারেন সিন্ধিয়া।

Advertisment

এদিকে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পর পরই বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিলেন ২২ বিধায়ক। ফলে কমলনাথ সরকারের অস্বস্তি বাড়ল। পদত্যাগী বিধায়করা প্রত্যেকেই বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। এরপরই রাজ্যপালকে চিঠি লিখে পদত্যাগী মন্ত্রীদের মন্ত্রিত্ব পদ থেকে সরানোর সুপারিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ।

publive-image রাজ্যপালকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের চিঠি।

মঙ্গলবার দুপুরে দল বিরোধী কাজের অপরাধে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অবিলম্বে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন। এমনটাই জানিছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।

আরও পড়ুন: চার আসনে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা

এর আগে অন্তর্বতীকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেনন মধ্যপ্রদেশের নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেখানেই তিনি লিখেছেন, '১৮ বছর কংগ্রেসের হয়ে কাজ করার পর এখন সম্পর্ক ছিন্ন করার সময় হয়েছে। মানুষের যে কাজ করতে চেয়েছি তা এই দলে থেকে করা যাচ্ছিল না।'

publive-image জ্যোতিরাদিত্যের ইস্তফাপত্র।

হাত ছেড়ে কী বিজেপির পথে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? সেই প্রশ্নেই আপাতত নানা জল্পনা। মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সূত্রের খবর, পদ্ম প্রতীকে রাজ্যসভার টিকিট চূড়ান্ত হলেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন প্রয়াত মাধবরাও সিন্ধিয়ার পুত্র।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদের আটকে রাখার অভিযোগ

এই পরিস্থিতিতে বেকায়দায় মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সোমবারই দিল্লিতে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। রাতেই তড়িঘড়ি ফেরেন ভোপালে। রাতেই মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মন্ত্রিরা একে একে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করেন। বৈঠকে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়। এই পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে কমলনাথ বিজেপির ক্ষমতা দখলের রাজনীতিকে দায়ী করেন। রাতে বিবৃতি দিয়ে জানান, 'মাফিয়াদের সহযোগিতায় বিজেপি সরকারে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। ওদের সফল হতে দেব না। এই সরকার পাঁচ বছরই চলবে।'

কংগ্রেস সূত্রে খবর, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গেও হাইকমান্ডের যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। কেন হঠাৎ এই পরিস্থিতির উদ্ভব হল? হাত শিবিরের অন্দরের খবর, সামনেই রাজ্যসভার ভোট। মধ্যপ্রদেশ থেকে থেকে ৩টি আসনে ভোট হবে। আসন সংখ্যার নিরিখে ২টি আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। বাকি ১টি যাবে বিজেপির দখলে। এই ২ আসনের একটিতে নিজে ফের প্রার্থী হতে চাইছেন জ্যোতিরাদিত্য। অন্যটিতে তাঁর অনুগামীদের প্রার্থী করতে মরিয়া এই কংগ্রেস নেতা। তাই কৌশলেই কমলনাথ সরকারের উপর চাপ তৈরি করছেন জ্যোতিরাদিত্য।

কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দ্বিগ্বিজয় সিং সহ মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের অনেক মাথা। বর্তমানে রাজ্যে দলের রাশ রয়েছে কমলনাথ শিবিরের হাতে। এর আগেও কমলনাথের বিরুদ্ধে জ্যোতিরাদিত্যকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। ফের রাজ্যসভায় যাওয়ার রাস্তা পাকা করতেই তাই কমলনাথ সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টায় জ্যোতিরাদিত্য! এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। রাজ্যসভাভোটে মনোমনয়ের শেষ দিন ১৩ মার্চ।

আরও পড়ুন:  নয়া স্বপ্ন গড়তে পুরনো কর্মীতেই ভরসা তৃণমূলের

২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের দখল হাতছাড়া হয়েছে পদ্ম শিবিরের। ক্ষমতার গন্ধ পেতেই তাই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশেরে কমলনাথ সরকারের উপর কড়া নজর চালাচ্ছেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা। ঘনঘন কথা হয় শিবরাজ সিং চৌহান সহ রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। চলছে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক। সেখানে হাজির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, ভি ডি শর্মারা।

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এমনিতে টলমল। ২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে জিতলেও বিজেপির সঙ্গে আসন সংখ্যার খুব একটা ফারাক ছিল না। ২৩০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ১১৪ জন। সপা-বসপা-নির্দল মিলিয়ে কমলনাথ সরকারকে সমর্থন করেন ১২১ জন বিধায়ক। বিজেপির দখলে ১০৭ বিধায়ক। বর্তমানে বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ২২৮। সরকারের আস্থার জন্য প্রয়োজন ১১৫ বিধায়কের সমর্থন।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp CONGRESS Madhya Pradesh
Advertisment