বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলে বিধানসভায় আস্থা ভোটের আর্জি জানালেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। শুক্রবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল লালজি টেন্ডানের সঙ্গে কথা দেখা করেন কমলনাথ। সেই সাক্ষাতেই তিনি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আস্থা ভোট করানোর আবেদন জানান।
Advertisment
রাজ্যপালকে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ জানান, চলতি মাসের ৩ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত বিজেপি বিধায়ক কেনাবেচার প্রক্রিয়া চালিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, '৮ই মার্চ ১৯ কংগ্রেস বিধায়ককে তিনটি বিমানে বেঙ্গালুরু নিয়ে য়াওয়া হয়েছিল। তাঁদের রাখা হয়েছিল একটি রিসর্টে। আর এইসবের পিছনে রয়েছে বিজেপি। এই দলই মধ্যপ্রদেশে সরকারের অস্থিরতা তৈরি করছে ও গণতন্ত্রিকে সমস্যাসঙ্কুল করেছে। স্বচ্ছ রাজনীতির পরিবেশ শেষ হয়ে গিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ একটি তদন্তমূলক বিষয়। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্টানকে যারা বিপথগামী করার চেষ্টা করেছে তাঁদের শাস্তি হওয়া দরকার।'
২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ২০১৮-র ফলাফল অনুসারে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১১৪। সপা-বসপা ও নির্দল বিধায়কদের সমর্থনে সরকার গড়েছেন কমলনাথ। বিজেপির দখলে ১০৯ বিধায়ক। বর্তমানে ২টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
'মানুষের জন্য কংগ্রেসের থেকে কাজ করা যায় না।' সম্প্রতি এই অভিযোগ করেই হাত শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর সঙ্গেই কংগ্রেস ছেড়েছেন ৬ মন্ত্রী সহ ২২ বিধায়ক। আর এতেই সংকটে কমলনাথ সরকার। এমনিতেই বিধানসভায় বিজেপি ও কংগ্রেস বিধায়কদের সংখ্যার ফারক খুব বেশি ছিল না। কিন্তু, ২২ বিধায়ক দল ছাড়ায় কার্যত সংখ্যালঘু মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সরকার বাঁচাতে তাঁর পক্ষে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। কমলনাথ বলেন, 'রবিবার আস্থাভোটে কংগ্রেস জয় পাবে।' এর আগে আস্থা ভোটে জয় প্রসঙ্গে'চমকে'র কথা বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগিজয় সিং।