করোনাসংকট তো ছিলই মহারাষ্ট্রে, এর উপর নতুন করে তৈরি হল এক সাংবিধানিক সংকট। গত বছর সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারা অনুসারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ২৮ নভেম্বর শপথ নিয়েছিলেন বালঠাকরে-পুত্র উদ্ধব ঠাকরে। নিয়মানুযায়ী ২৪ মে-এর আগে রাজ্য আইনসভার যে কোনও একটি কক্ষে তাঁকে নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু করোনা আবহে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্যসভা নির্বাচন, উপনির্বাচন এবং নাগরিক সংস্থার নির্বাচন স্থগিত করেছে। সেই প্রেক্ষাপটেই মহাসংকটে মহারাষ্ট্র।
এমনিতেই মহারাষ্ট্রের আইনপরিষদের দুটি শূন্যপদের একটিতে উদ্ধব ঠাকরেকে নির্বাচন করা নিয়ে আইনি সমস্যা রয়েছে। জনগণের প্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-এর ১৫১ এ ধারা অনুসারে, "শূন্যপদে কোনও সদস্যের মেয়াদ অবশিষ্ট যদি এক বছরেরও কম হয়" তবে এই পদে নির্বাচন বা মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। এদিকে আইন পরিষদে দুটি শূন্যপদের মেয়াদ ২ জুন শেষ হবে। অর্থাৎ এর আগে কোনওভাবেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না উদ্ধব।
এদিকে বিজেপির তরফে রাজ্যপাল বি কে কোশিয়ারির ভূমিকা নিয়ে পরশ্ন তোলা হয়। বিজেপি সূত্র জানায় রাজ্য ক্যাবিনেটের দেওয়া সুপারিশ অনুমোদন করছে না রাজ্যপাল। ফলে এটি কেবল 'রাজনৈতিক নয়, সাংবিধানিক সংকট' তৈরি করেছে রাজ্যে। বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “মহারাষ্ট্র সরকারের উচিত সংবিধান বিশেষজ্ঞ বা আইনী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং এই সংকট সমাধান করা। অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়া উচিত গোটা বিষয়টি নিয়ে। এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয় বরং সাংবিধানিক সঙ্কট।”
যদিও উদ্ধব ঠাকরের নাম মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার উচ্চকক্ষের শূন্যপদের জন্য সুপারিশ করলেও তা রাজ্যপাল কোশিয়ারি দেরি করেছেন সিদ্ধান্ত নিতে এমনটাই জানান হয়েছে শিবসেনার তরফে। এদিকে করোনা আবহে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া মুলতুবি রেখেছে নির্বাচন কমিশন। শিবসেনা প্রধান সঞ্জয় রাউত বলেন, "রাজ্যপাল যে বিজেপির হয়েই কাজ করেন এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই যে ২৭ মে-এর পরও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন উদ্ধব ঠাকরেই।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন