Advertisment

সোনালি বেন্দ্রের 'মৃত্যু সংবাদ' টুইট করে ফাঁপরে বিজেপি বিধায়ক

শুক্রবার দুপুরে করা টুইটে কদম বলেন, সোনালি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারা গিয়েছেন, এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন। আধঘন্টা পরেই সেই টুইট হাওয়া।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চারদিন আগে তিনি বলেছিলেন, যেসব তরুণ পালিয়ে তাঁদের মনপসন্দ তরুণীদের বিয়ে করতে চান, তাঁদের তিনি সাহায্য করতে প্রস্তুত। গতকাল মুম্বইয়ের ঘাটকোপার এলাকার বিজেপি বিধায়ক রাম কদম টুইট করে বললেন, ক্যান্সার আক্রান্ত বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রে মারা গিয়েছেন। পরে অবশ্য এই টুইট ডিলিট করে তিনি আরেকটি টুইট করেন এই বলে, যে আগের টুইটটি গুজব ছিল।

Advertisment

শুক্রবার দুপুরে করা টুইটে কদম বলেন, সোনালি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারা গিয়েছেন, এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন। আধঘন্টা পরেই সেই টুইট হাওয়া। পরিবর্তে আরেকটি টুইট, "সোনালি বেন্দ্রের ব্যাপারটা গুজব ছিল। গত দুদিন ধরে...ঈশ্বরের কাছে তাঁর দ্রুত আরোগ্য এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করি।"

প্রসঙ্গত, সোনালি হাই গ্রেড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার একটি ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কদম প্রকাশ্যেই সেইসব তরুণদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, যাঁরা পালিয়ে তাঁদের পছন্দমত বিয়ে করতে চান। বৃহস্পতিবার তাঁর মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, তাঁর বক্তব্যকে বিরোধীরা বিকৃত করেছে, এবং তিনি "সকল মা ও বোনের" কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

শুক্রবার কদম পাশে পান বর্ষীয়ান বিজেপি মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাটিল কে, যিনি বলেন, "যেহেতু উনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, ব্যাপারটা এবার চুকে যাওয়া উচিৎ। মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভ্যাস কদমের নেই। বরং উনি উল্টো অনেক মহিলাকে সাহায্য করেছেন। ওঁর কেন্দ্রে হাজার হাজার মহিলা ওঁকে রাখী পরান।" তবে মন্ত্রী এও বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কোনও মন্তব্য করার আগে সাবধান হওয়া উচিৎ। "বিজেপির রাজ্য সভাপতি ঠিক করবেন কদমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কী না।"

এদিকে শিব সেনা তাদের দলীয় মুখপত্র 'সামনা'-তে প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয়তে ত্রয়োদশ শতাব্দীর দিল্লির সুলতান অালাউদ্দিন খিলজীর সঙ্গে কদমের তুলনা করে বলেছে, "রানী পদ্মিনী এবং হাজার হাজার রাজপুত মহিলা জহরব্রত পালন করেছিলেন নিজেদের সম্মান এবং ধর্ম রক্ষার্থে। বিজেপির খিলজীর কারণে কি এবার মহারাষ্ট্রের মহিলাদের জহরের আগুনে ঝাঁপ দিতে হবে?"

সম্পাদকীয়তে এই ঘটনায় বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মৌনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুসলিম মহিলাদের ন্যায়বিচার দিতে আগ্রহী, কিন্তু বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে মহারাষ্ট্রের মহিলাদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।" লেখাটিতে আরও বলা হয়েছে, বিজেপির একমাত্র ক্যাবিনেট মন্ত্রী পঙ্কজা মুণ্ডের এই ব্যাপারে মুখ খোলা উচিৎ।

bjp shiv sena
Advertisment