ডিনারের নাম করে অপহরণ করা হয়েছিল। কোনওরকমে পালিয়ে বেঁচেছেন শিবসেনা বিধায়ক। মহারাষ্ট্রে মহা-নাটকের মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ওসমানাবাদের শিবসেনা বিধায়ক কৈলাস পাটিল। তাঁর অভিযোগ, বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের সাগরেদরা তাঁকে মুখে কাপড় দিয়ে আটকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল গুজরাটে। গাড়িতে করেই অপহরণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মাঝ রাস্তায় তাঁদের চোখে ধুলো দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালান বিধায়ক।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন পাটিল। বলেছেন, "মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন মাতশ্রী থেকে ফেরার সময় শিণ্ডের সাগরেদ কয়েকজন লোক আমার মুখে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। গাড়িতে করে গুজরাটে নিয়ে যাচ্ছিল। সোমবার রাতে এই ভাবে অপহরণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।"
এর পর পাটিল অভিযোগ করেছেন, বিধান পরিষদের নির্বাচনের পরই একনাথ শিণ্ডের সঙ্গে ডিনারের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু থানে থেকে ৪০ কিমি দূরে গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর সন্দেহ হয়। পাটিল বিপদের গন্ধ পান। তিনি তৎক্ষণাৎ চালককে গাড়ি থামাতে বলেন। প্রস্রাবের নাম করে গাড়ি থেকে নামেন।
আরও পড়ুন সরকার টালমাটাল, তার মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী, মহারাষ্ট্রে ‘মহাসঙ্কট’
একেবারে গুজরাট-মহারাষ্ট্র সীমানায় তিনি গাড়ি থামান। এর পর ধীরে ধীরে মুম্বইয়ের দিকে হাঁটতে শুরু করেন রাতের বেলা। কয়েক কিমি এভাবেই হেঁটে যান। তার পর রাস্তায় একটি বাইক দাঁড় করিয়ে তিনি চালকের কাছে লিফট চান। তার কিছু দূর গিয়ে একটি ট্রাক দাঁড় করিয়ে লিফট চান। এইভাবে মঙ্গলবার ভোরে কোনওরকমে মুম্বইয়ে এসে পৌঁছন তিনি। পৌঁছেই শিবসেনা নেতা-কর্মীদের গোটা ঘটনার কথা জানান।
পাটিল প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতেছেন। তাই পার্টির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এই সঙ্কটের পরিস্থিতিতে দলের প্রতি অনুগত থেকেছেন। তাঁকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে। পাটিল ৩০ জন শিবসেনা বিধায়কের মধ্যে রয়েছেন যাঁদের নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে অসমের রিসর্টে ৪০ জন বিধায়ক রয়েছেন।