শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের একক বৃহত্তম দল বিজেপিকে সরকার গঠন করার 'আগ্রহ প্রকাশ করতে' নির্দেশ দিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। শনিবার মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে রাজ্যের ত্রয়োদশ বিধানসভার মেয়াদ। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে সরকার গঠন করার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে রাজ ভবন।
শুক্রবার তাঁর পদত্যাগের পরেও মহারাষ্ট্রের কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থেকে যেতে বলা হয় ফড়নবিশকে। রাজ্যে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের পর ২৮৮ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১০৫ টি, ফলে বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গঠনের অগ্রাধিকার পায় তারা।
কিন্তু সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৫ টি আসনের 'ম্যাজিক নম্বর' সংগ্রহে তারা অপারগ, শুক্রবার বিজেপি একথা ঘোষণা করার পর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার সুযোগ পায় অন্যান্য দল। প্রসঙ্গত, শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে যে তারা উভয়েই সরকার গঠনের চেষ্টা করতে রাজি, একথা হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি। শিবসেনার আসন সংখ্যা ৫৬, কংগ্রেসের ৪৪, এনসিপি-র ৫৪।
এর আগে মনে করা হচ্ছিল, সরকার গঠন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদ দখল করা নিয়ে বিজেপি এবং দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী শিবসেনার দুই সপ্তাহব্যাপী বিবাদ সময়মতো না মিটলে রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি হতে পারে মহারাষ্ট্রে। শিবসেনার মূল দাবি ছিল, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে দুই দলের দ্বারাই অনুমোদিত তথাকথিত ৫০-৫০ ফর্মুলায় সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুক বিজেপি। যে দাবি ঘিরেই বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার টানাপোড়েন চলেছে একপক্ষ কাল।
নড়বড়ে হলেও তাই আপাতত মসনদে বসবে বিজেপিই। তবে সিংহাসন এখনো সুরক্ষিত বলা যায় না। কারণ সোমবারই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে নতুন সরকারকে।