মহারাষ্ট্রের আইকন ছত্রপতি শিবাজি। তাঁকে নিয়েই কি না মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন। তিনি বলেছেন যে শিবাজি ছিলেন মহারাষ্ট্রের পুরাতন সময়ের আইকন। আর, কোশিয়ারির এই মন্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি। কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপির সরকার। সেই কারণে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলগুলোর যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে আছড়ে পড়েছে বিজেপির ওপর। কংগ্রেস, এনসিপি, উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরেবাদী শিবসেনা বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছে।
বিরোধী দলগুলোর এই ক্ষোভের কারণ, ১৭ শতকের মহারাজ শিবাজি আজও মহারাষ্ট্রের জনজীবনের আদ্যপ্রান্তজুড়ে রয়েছেন। তাঁর বিভিন্ন কৃতিত্ব আজও সকাল সন্ধ্যায় স্মরণ করে মহারাষ্ট্রবাসী। রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও তার দারুণ প্রভাব রয়েছে। আর, সেই শিবাজিকে নিয়েই রাজ্যপালের মত সাংবিধানিক শীর্ষপদে থাকা কোনও ব্যক্তি প্রকাশ্যে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে জলঘোলা ক্রমশ বাড়ছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ ফুটবলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে রয়েছে রাজনীতি, কীভাবে?
ঠিক কী বলেছেন কোশিয়ারি? শনিবার ঔরঙ্গাবাদের ডক্টর আম্বেদকর মারাঠাওয়াড়া ইউনিভার্সিটিতে বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি এবং এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ারকে সাম্মানিক ডি.লিট সম্মান দেওয়া হয়। সেই সম্মান তাঁদের হাতে তুলে দেন রাজ্যপাল কোশিয়ারি। এরপর তিনি বলেন, 'আগে, যখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হত আপনার আইকন কে? আপনারা বলতেন জওহরলাল নেহেরু, সুভাষচন্দ্র বসু এবং মহাত্মা গান্ধী। আর মহারাষ্ট্রে, আপনার অন্য কোনও দিকে দেখার দরকার নেই। এখানে অনেক আইকন আছেন- যেমন পুরোনো সময়ের ক্ষেত্রে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ, আধুনিক সময়ে আম্বেদকর এবং নীতিন গড়করিরা আছেন।'
যে শিবাজি মহারাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক, মহারাষ্ট্রবাসীর আত্মপরিচয়। তাঁর সঙ্গে আম্বেদকর আর নীতিন গড়কড়িদের এক আসনে বসানো। আর, শিবাজিকে পুরোনো জমানার আদর্শ। আর, আম্বেদকরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে টেনে বর্তমান সময়ের আদর্শ বানানো কোশিয়ারির মন্তব্যকে স্বভাবতই খোলামনে নেয়নি মহারাষ্ট্রবাসী। এই খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে কোশিয়ারিকে সরানোর দাবি তুলেছে কংগ্রেস, উদ্ধবের শিবসেনা আর এনসিপি।
Read full story in English