মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়ে ‘মহা’সংকট অব্যাহত। বিজেপি-শিবসেনার টানাপোড়েনে ফল ঘোষণার ২ সপ্তাহ পর এখনও নতুন সরকার পেল না মহারাষ্ট্র। যত দিন গড়াচ্ছে, ততই নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। দলের বিধায়কদের ভাঙাতে পারে বিজেপি, এ আশঙ্কা থেকেই এবার দলের সব বিধায়কদের হোটেলে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে দিলেন উদ্ধব ঠাকরেরা। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত দলের সব বিধায়ককে বান্দ্রার হোটেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছে শিবসেনা নেতৃত্ব। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সারলেন বিজেপি নেতারা। এদিকে, বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে উদ্ধব ঠাকরে সাফ জানিয়ে দিলেন, আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিতে চাইলে, তবেই আমায় ডাকবেন নচেৎ নয়।
রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সে রাজ্যের বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাটিল বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের মানুষ চান বিজেপি ও শিবসেনা সরকার গড়ুক। রাজ্যপালকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছি। এ পরিস্থিতি না বদলালে আইনত কোনও পদক্ষেপ করা যায় কিনা সে ব্যাপারে কথা হয়েছে। এরপর আমরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব’’। এদিন বিজেপি নেতা নিতিন গড়করি বলেন, ‘‘শিবসেনার সঙ্গে আমরা আলোচনা চালাচ্ছি। ওদের সমর্থন নিয়েই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ব’’।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে নেই ‘পাওয়ার’
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি থেকে সরতে নারাজ শিবসেনা। এদিন দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘‘জোট ভাঙতে চাই না। কিন্তু লোকসভা ভোটের সময় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি, তা যেন তারা বাস্তবায়িত করে’’। এ প্রসঙ্গে শিবসেনার এক বিধায়ক বলেন, ‘‘উদ্ধবজির অবস্থানে কোনওরকম নড়চড় হবে না’’। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের ৫০-৫০ ফর্মুলায় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে শিব সেনা। যে দাবি ঘিরেই বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার টানাপোড়েন চলছে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন। শিবসেনা জিতেছে ৫৬টি আসনে। এনসিপি এবং কংগ্রেস পেয়েছে যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪টি আসন।
Read the full story in English