Maharashtra, Haryana Assembly Election Results updates: দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট হতেই দিল্লিতে জয়ী বিজেপি জনপ্রনিধিদের জরুরি তলব করলেন মোদী-শাহ। হরিয়ানায় ম্যাজিক ফিগার না পেয়েও কীভাবে ফের সরকার গঠন করা যায় এবং আজকের ফলাফলের পর মহারাষ্ট্রে শিবসেনার 'আস্ফালন' মোকাবিলা করার কৌশল কী হবে, তা নিয়েই অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ ও পরামর্শ দেবেন সাম্প্রতিককালে নির্বাচনী রাজনীতিতে চরম সফল মোদী-শাহ জুটি।
দুই রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, হরিয়ানার নির্বাচনে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেসের সঙ্গে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের মধ্যে ১৫৭টি আসনে জয় লাভ করছে মহারাষ্ট্র-শিবসেনা জুটি। ইতিমধ্যে বিজেপিকে '৫০-৫০' তত্ত্ব অর্থাৎ আধাআধি ক্ষমতা বন্টনের কথা 'স্মরণ' করিয়ে দিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। ফলে সহজেই ম্যাজিক ফিগার পার করলেও অচিরেই ক্ষমতার আকচাআকচির সম্মুখীন হতে হতে পারে পদ্মশিবিরকে।
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: মহারাষ্ট্রের ভোটে শিবসেনার উত্থানে বিজেপির চাপ
এদিকে, হরিয়ানায় নয়া চাল চেলেছে কংগ্রেস। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, ‘‘এটা কংগ্রেস, জেজেপি, আইএনএলডি ও নির্দলদের সময়। সকলে মিলে একজোট হয়ে শক্তিশালী সরকার গড়তে হবে’’। উল্লেখ্য, জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালা বলেন, হরিয়ানায় বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, সরকার গড়ার চাবি জেজেপি-র হাতে। কারণ, বিরোধীরা একজোট হলে হরিয়ানা দখল করতে পারবে না গেরুয়া বাহিনী।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের রাস্তায় দৌড়ে তাক লাগালেন মমতা
কী বলেছিল এগজিট পোল?
বিজেপির দখলেই থাকছে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা! এমন ইঙ্গিতই দিয়েছিল এগজিট পোল। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার এগজিট পোল অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের মধ্যে এবার ১০৯-১২৪টি আসনে জিতবে ফড়নবীশ শিবির। শিব সেনা পাবে ৫৭-৭০টি আসন। ৪০-৫০টি আসনে জিততে পারে এনসিপি। কংগ্রেসের হাতে থাকতে পারে ৩২-৪০টি আসন। সিএনএন নিউজ ১৮ ও আইপিএসওএসের এগজিট পোল অনুযায়ী, বিজেপি-শিবসেনা জোট পেতে পারে ২৪৩টি আসন, কংগ্রেস-এনসিপি পেতে পারে ৪১টি আসন, অন্যান্যরা পেতে পারে ৪টি আসন।মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি হরিয়ানাতেও আবার পদ্মফুল ফুটতে চলেছে। টাইমস নাওয়ের এগজিট পোলের ফল অনুযায়ী, ৯০টি আসনের মধ্যে সে রাজ্যে বিজেপি পেতে পারে ৭১টি আসন, কংগ্রেস জিততে পারে মাত্র ১১টি আসন, অন্যান্যরা জিততে পারে ৮টি আসন। খালি হাতে গণনাকেন্দ্র থেকে ফিরতে হতে পারে আইএনএলডি-অকালিকে। ইন্ডিয়া নিউজ-পোলস্ট্র্যাটের এগজিট পোলে হরিয়ানায় বিজেপি জিততে পারে ৭৫-৮০টি আসন, কংগ্রেস দখল করতে পারে ৯-১২টি আসন, শূন্য কিংবা ১টি আসন পেতে পারে আইএনএলডি-অকালি, অন্যান্যরা জিততে পারে ১-৩ টি আসন।
Live Blog
Maharashtra, Haryana Assembly Election Results updates: কার দখলে থাকছে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা? সব আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
সাতারা লোকসভা কেন্দ্র এবং পারলি বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফলে কার্যত 'হতবাক' মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সাংবাদিক সম্মেলনে ফড়নবীশ বলেন, "সাতারা লোকসভা কেন্দ্র এবং পারলি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফলে আমরা হতাশ। আমাদের ৬ জন মন্ত্রী সেখানে পরাজিত হয়েছে। আগামীতে আমরা এর কারণ খতিয়ে দেখব। আজ আমাদের বিজয় উদযাপনের দিন। আমাদের এখন সেটাই করতে দিন।"
কংগ্রেস-এনসিপি শিবিরকে টেক্কা দিয়ে এই মুহূর্তে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি-শিবসেনা জোট। ৫৭.২৭ শতাংশ ভোট নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম নাগপুর কেন্দ্রে এগিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সরকার গঠনের বিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন, "শিবসেনা এবং আমাদের (বিজেপি) মধ্যে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আমরা সেই অনুযায়ীই এগিয়ে যাব। ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সঠিক সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।"
বিধানসভা নির্বাচন এবং অন্যান্য উপনির্বাচনের ফলাফলের পর দলীয় কর্মীদের সাথে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আজ সন্ধ্যায় দলীয় সদর দফতরে দলীয় কর্মীদের সাথে বৈঠক করে বক্তব্য রাখবেন তাঁরা। বিজেপি সংসদীয় বোর্ডও আজ দলীয় সদর দফতরে বৈঠক করবে বলে খবর।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী? দেখুন...
#WATCH: Congress General Secretary for UP (East) Priyanka Gandhi Vadra in Raebareli says, "I haven't seen the latest trends, really happy at both (Haryana and Maharashtra). We also are happy about the fact that here in UP our vote percentage has increased." pic.twitter.com/WICkvwnUqd
— ANI UP (@ANINewsUP) October 24, 2019
মহারাষ্ট্রে আবারও ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি-শিবসেনা জোট। দাদরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আবির খেলায় মাতলেন শিবসেনা কর্মীরা। ছবি: প্রশান্ত নাদকার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
৮-এর দশকে যখন শিবসেনা প্রথমবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, সেবার তারা পেয়েছিল ৭০এর কিছু বেশি আসন। ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তাদের দলের। বেলা আড়াইটে নাগাদ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে শিবসেনা ৫৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, যা ১৯৯৫ সালের পুনরাবৃত্তি বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত ঘোষণা করেছেন সেনা ও বিজেপি তাদের জোট অক্ষুণ্ণ রাখবে, তাঁদের হিসেব হবে ৫০-৫০। সঞ্জয় রাউত আগ্রাসী হিসেবেই পরিচিত, মহারাষ্ট্রে সেনা কর্মীরা সারা রাজ্যে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠায় তিনি আরও জোর পেয়েছেন। দেওয়ালের লিখন স্পষ্ট, ২৮৮ আসনের বিধানসভায় যদি সেনা ৮০টির বেশি আসন পায়, তাহলে বিজেপিকে তারা জোর ধাক্কা দেবে। বিস্তারিত পড়ুন
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলে রীতিমতো অস্বস্তির মুখে ক্ষমতাসীন বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি সরকারের ৭ ক্যাবিনেট মন্ত্রী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ এ মুহূর্তে অনেকটা ভোটে পিছিয়ে পড়েছে নিজেদের কেন্দ্রে। ৯০ আসনের হরিয়ানায় বিজেপি এ মুহূর্তে এগিয়ে ৩৭টি আসনে, অন্যদিকে ২৮টি আসনে এগিয়ে থেকে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে কংগ্রেস। ফলাফলের এই ট্রেন্ড দেখার পরই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষ তত্পরতা। ইতিমধ্যেই পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ডাকা হয়েছে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকে। ফরিদাবাদের সাংসদ কৃষ্ণপাল বলেছেন, নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিস্তারিত পড়ুন , এই প্রতিবেদনে হরিয়ানায় কঠিন লড়াইয়ের মুখে বিজেপি, সরকার গঠনে আশাবাদী কংগ্রেস
হরিয়ানায় জোর টক্কর কংগ্রেস-বিজেপির। সরকার গড়তে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক কংগ্রেসের। এই প্রেক্ষাপচে কংগ্রেস নেতা ডিএস হুডার অভিযোগ, ‘‘নির্দলদের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি, কারণ ওঁরা আমাদের সমর্থন করতে চান। গণতন্ত্রে এটা কাম্য নয়। নির্দল প্রার্থীরা কাকে সমর্থন জানাবেন, সে ব্যাপারে স্বাধীনতা থাকা দরকার। এ বিষয়টি আলোকপাত করতে আর্জি জানাচ্ছি নির্বাচন কমিশনকে’’।
#WATCH DS Hooda,Congress: BJP is trying to pressurize independent candidates as most of them want to join us. It can't be accepted in democracy.Independent candidates should be able to freely choose the party whom they wish to support.I want to appeal to EC about it through media pic.twitter.com/8qn3A1flJ1
— ANI (@ANI) October 24, 2019
ভোটের ফল প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার বলেন, ‘‘নির্বাচন নিয়ে আরা শীঘ্রই বৈঠকে বসব। আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমরা আমাদের মতো করে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি’’। উল্লেখ্য, বিজেপি-শিবসেনার জোটের থেকে মহারাষ্ট্রে পিছিয়ে কংগ্রেস-এনসিপি শিবির।
হরিয়ানায় নয়া চাল কংগ্রেসের। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, ‘‘এটা কংগ্রেস, জেজেপি, আইএনএলডি ও নির্দলদের সময়। সকলে মিলে একজোট হয়ে শক্তিশালী সরকার গড়তে হবে’’। উল্লেখ্য, হরিয়ানায় বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, সরকার গড়ার চাবি জেজেপি-র হাতে। বিরোধীরা একজোট হলে হরিয়ানা দখল করতে পারবে না গেরুয়া বাহিনী।
#WATCH Former Haryana CM BS Hooda in Rohtak: The time has come for Congress, JJP, INLD, and independent candidates to come together to form a strong government. #HaryanaAssemblyElections pic.twitter.com/r255Dsju5H
— ANI (@ANI) October 24, 2019
মহারাষ্ট্রে ফের ক্ষমতায় ফিরছে ফড়নবীশ সরকার। মুম্বইয়ে বিজেপি দফতরে উৎসবের মেজাজ।
#MaharashtraElections2019: Celebrations underway at BJP state office in Mumbai pic.twitter.com/FolobQGMN3
— ANI (@ANI) October 24, 2019
ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, দেখুন...
#WATCH Sanjay Raut, Shiv Sena: I am going to meet Uddhav Ji. Number itne bure bhi nahi hain, aisa hota hai kabhi kabhi. Yes, we will definitely continue with the alliance. We have agreed upon a 50-50 formula. #MaharashtraAssemblyPolls2019 pic.twitter.com/ae0bJUNI8q
— ANI (@ANI) October 24, 2019
এই মুহূর্তের ট্রেন্ড অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে ১৬৬টি আসনে এগিয়ে বিজেপি-শিবসেনা জোট। কংগ্রেস-এনসিপি জোট এগিয়ে ৯২টি আসনে। এআইএমআইএম এগিয়ে ২টি আসনে, অন্যান্যরা এগিয়ে ২৭টি আসনে। অন্যদিকে, হরিয়ানায় ৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ৪০টি আসনে, কংগ্রেস এগিয়ে ৩২টি আসনে, জেজেপি এগিয়ে ৯টি আসনে, অন্যান্যরা এগিয়ে ৯টি আসনে।
মহারাষ্ট্রে আবারও ক্ষমতা দখলের পথে বিজেপি-শিবসেনা জোট। এই মুহূর্তে ১০৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়াশিবির। অন্যদিকে, ৭৩টি কেন্দ্রে এগিয়ে শিবসেনা। দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন দেবন্দ্র ফড়নবীশ। তবে আদিত্য ঠাকরকে কী দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ১২২টি আসনে। শিবসেনার হাতে ছিল ৬৩টি আসন।
ফল ঘোষণার দিন কী বললেন দুষ্মন্ত চৌতালা, দেখুন ভিডিও। সূত্র: এএনআই।
#WATCH Jannayak Janata Party (JJP) leader Dushyant Chautala in Jind: Haryana ki janta ka pyar mil raha hai. Badlaav ki nishaani hai. 75 paar toh fail hogaya (for BJP), ab Yamuna paar karne ki baari hai. #HaryanaAssemblyPolls pic.twitter.com/ufdyqtkqLz
— ANI (@ANI) October 24, 2019
‘কংগ্রেসই জিতবে’, আত্মবিশ্বাসী হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। সূত্র-এএনআই।
#WATCH Senior Congress leader & former Haryana CM Bhupinder Singh Hooda in Rohtak: Congress ka bahumat aayega. #HaryanaAssemblyPolls pic.twitter.com/dxzdQNY09c
— ANI (@ANI) October 24, 2019
এগজিট পোলের ফল দেখেই মহারাষ্ট্রে উৎসবের মেজাজে গেরুয়াশিবির। জয়ী নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে মিষ্টি, ব্যানার, মিউজিক ব্যান্ড রাখা হচ্ছে। ৫ হাজার লাড্ডির বরাত দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এগজিট পোলের ফল বাস্তবায়িত হলে আবারও মহারাষ্ট্রের তখতে ফিরবে ফড়নবীশ সরকার।ছবি: প্রদীপ দাস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা আজ। মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা আসন ও হরিয়ানার ৯০টি আসনে এদিন এক দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব চলে। বিজেপির দখলেই কি থাকছে দুই রাজ্য নাকি বদলাবে সমীকরণ? তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। ভোটগণনা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে দুই রাজ্যে।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় ভোটগণনা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের সামনে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মোদী ম্যাজিক বজায় থাকে কিনা সেটাই দেখার।
দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে বিজেপি সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতিতে থাকলেও কেরালায় পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অন্তিম লগ্নে নিশ্চিহ্ন মোদী-শাহর দল। পাঁচটির মধ্যে তিনটিতে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ), আর অন্য দুটিতে সিপিএম-এর নেতৃত্বাধীন লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)। এর্নাকুলাম, মঞ্জেশ্বরের পাশাপাশি আরুরের আসনেও সিপিএমকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। অন্যদিকে, ভাত্তিওরকাভু এবং কোন্নির দুটি আসনে ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছে লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। ভাত্তিওরকাভু, কোন্নি এবং মঞ্জেশ্বরের আসনগুলিতে গেরুয়া শিবির ভালো ফলের আশা করলেও ইউডিএফ এবং এলডিএফের ভোট ব্যাঙ্কের লড়াইয়ে দক্ষিণের এই রাজ্যে কেন্দ্রের শাসক দলের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। বিস্তারিত পড়ুন- কেরালায় বিজেপি শূন্য, দখল কায়েম রাখল বাম-কংগ্রেস
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে 'ভালো ফলের' পর রাজ্যে ক্ষমতা বন্টনের ক্ষেত্রে এবার বিজেপিকে '৫০-৫০' চুক্তি স্মরণ করাতে চাইছে শিবসেনা। নির্বাচনের ফলাফল শেষে এমনটাই জানালেন বালাসাহেব-পুত্র তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের মধ্যে ১০১টিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি, ৫৭টি আসন পেয়েছে শিবসেনা। অন্যদিকে, এনসিপি-কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। এমতাবস্থায় রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এবং ক্ষমতার দাড়িপাল্লা কোন দিকে কতটা ঝুঁকবে, সে বিষয়ে উদ্ধব ঠাকরের এদিনের মন্তব্য রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের। ফলাফল স্পষ্ট হতেই এদিন শিবসেনা প্রধান বলেন, "বিজেপি প্রধান অমিত শাহ যখন আমার বাড়িতে এসেছিলেন সেই সময়েই জোটের পঞ্চাশ-পঞ্চাশ সূত্রের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেই সূত্রটি এবার বিজেপিকে মনে করিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।" তবে উদ্ধব ঠাকরে এও বলেন যে তিনি এবং তাঁর দল বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে জোট পরবর্তী সরকার গঠন করার ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।
ছবি- রেণুকা পুরি