মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের ন'টি শূন্য পদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। শুক্রবার একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের (ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট) বিধি মেনে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে কিনা, তার তদারকি করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে একজন আধিকারিক মনোনয়ন করার আবেদন শীঘ্রই জানাবে কমিশন।
পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সরকারকেও রাজ্যের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য আধিকারিক মনোনয়নের নির্দেশ দেবে কমিশন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বলদেব হরপাল সিং পরিষদের নির্বাচনের অবজারভার হবেন বলে জানিয়েছেন কমিশনের এক আধিকারিক।
শীঘ্রই বিস্তারিত নির্বাচন সূচী প্রকাশ করবে কমিশন। আগামী সপ্তাহে 'প্যানডেমিক' বা সর্বব্যাপী মহামারীর আবহে নির্বাচন পরিচালনার উদ্দেশ্যে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা সাধারণ পরিচালনা পদ্ধতি (SOP)-ও গঠিত হবে। নির্বাচন কর্মী এবং বিধায়করা ভোটদানের সময় কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন, তার নির্দেশ থাকবে এই পদ্ধতিতে।
কমিশনের সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টা আগেই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, "যত শীঘ্র সম্ভব" মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের এই ন'টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হোক।
এই চিঠির দু'দিন আগে মহারাষ্ট্রের মুখহ্যমন্ত্রি উদ্ধব ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি ফোন করে এই ব্যাপারে তাঁর হস্তক্ষেপের আবেদন করেন। এর প্রধান কারণ, পরিষদে ঠাকরের মনোনয়ন সম্পর্কে একমাস আগে করা রাজ্য সরকারের সুপারিশে কোনও আমল দেন নি রাজ্যপাল।
ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রিত্ব বজায় রাখতে গেলে ঠাকরেকে আগামী ২৭ মে'র মধ্যে বিধানসভার যে কোনও একটি কক্ষের সদস্য হতেই হবে। গত বছরের ২৭ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
রাজ্যপালের চিঠি ছাড়াও কমিশনের কাছে যায় শিবসেনা, কংগ্রেস, এবং এনসিপি-র প্রতিনিধি দলের বার্তা। তাদের চিঠিতে বলা হয়, গত কয়েক মাসের "অদ্ভুত, অস্বাভাবিক, এবং অভাবনীয়" পরিস্থিতির ফলে নিজের নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারেন নি ঠাকরে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন