উদ্ধব ঠাকরে সরকার পুলিশি নিরাপত্তা তুলে নিতেই এবার মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী বিধায়কদের পাশে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র। শিণ্ডে শিবিরের ১৫ জন বিধায়ককে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দিচ্ছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক শিণ্ডের সঙ্গীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, সেই তালিকায় নেই একনাথ শিণ্ডে। তিনি এখন বিদ্রোহী শিবিরের নেতা।
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা র তালিকায় রয়েছেন বিধায়ক রমেশ বোরনারে, মঙ্গেশ কুড়ালকর, সঞ্জয় শিরসত, লতাবাই সোনাওয়ানে, প্রকাশ সুর্ভে-সহ ১৫ জন বিধায়ক। এদিকে, পরবর্তী রণনীতি কী হবে তা ঠিক করতে রবিবার গুয়াহাটির রাডিসন ব্লু হোটেলে বৈঠকে বসেছে শিণ্ডে শিবির। সেই বৈঠকে আইনি ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, মহারাষ্ট্রে মহাসঙ্কটের মধ্যেই মহারাষ্ট্র পুলিশ বড় পদক্ষেপ করেছে। মুম্বইয়ে বিশেষ পুলিশ আইন প্রয়োগ করে সবধরনের বেআইনি জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। পাঁচজনের বেশি কোথাও জমায়েত হলেই গ্রেফতার করা হবে এবং বিশেষ আইনে মামলা হবে। সমস্ত মন্ত্রী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতাদের বাসভবন-অফিসের সামনে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
আরও পড়ুন গেরুয়া-বিরোধী বিক্ষোভে রাশ টানতে এবার ময়দানে ED, কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত
অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দলের নীচুতলার নেতা-কর্মীদের খেপিয়ে দিয়েছে শিবসেনা নেতৃত্ব। দিকে দিকে বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে স্লোগান, পোস্টারিং করছে শিবসেনার কর্মীরা। গদ্দারদের ক্ষমা করা হবে না, স্লোগান দিচ্ছেন উদ্ধব শিবিরের নেতা-কর্মীরা। তার মধ্যে তাঁর ছেলে এবং মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন শিণ্ডে শিবিরকে।
যুবা সেনা সভাপতি বলেছেন. "মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকে বিধান ভবন যাওয়ার রাস্তা কিন্তু ওরলি হয়ে যাবে।" প্রসঙ্গত, ওরলি হল তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র এবং শিবসেনার শক্ত ঘাঁটি।