মহারাষ্ট্রে উদ্ধবের গদি টলমল। সরকার বাঁচাতে মরিয়া শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। এই অবস্থায় বিদ্রোহে জল ঢালতে শেষ পাশা খেললেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। দলের মুখপাত্র বিদ্রোহীদের দাবি মেনে মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট থেকে শিবসেনা বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তার জন্য বিদ্রোহীদের শর্তও দিয়েছেন। বলেছেন, আগে সবাইকে ফিরতে হবে, তবেই তাঁদের আবদার ভেবে দেখা হবে।
এদিন রাউত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, "যদি আপনাদের সমস্যা নেতৃত্ব নয় জোট সরকার হয়। যদি আপনারা শিবসেনা ছাড়বেন না বলছেন, তাহলে আমরা মহা বিকাশ আঘাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি। কিন্তু তার আগে সামনে আসার সাহস দেখান। আর এসে উদ্ধব ঠাকরের সামনে নিজেদের শর্ত রাখুন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিরলে দাবি নিয়ে ভাবনাচিন্তা হবে।"
এদিকে, মহারাষ্ট্রে মহাসঙ্কটের সময় শিবসেনার জোটসঙ্গী এনসিপি উদ্ধবের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছে। শরদ পওয়ারের দলের নেতা জয়ন্ত পাটিল টুইটে জানিয়েছেন, "মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাড়ি সরকার তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রকৃত বিকাশ এবং কল্যাণের জন্য। আমরা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আছি।" ঠিক যখন রাউত সরকার ভেঙে দেওয়ার কথা বলছেন সেই সময় তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত এনসিপির।
আরও পড়ুন শিণ্ডেদের বিদ্রোহের আসল কারণ কী? বোমা ফাটালেন সেনার শীর্ষ নেতা
এদিকে, রাউতের মন্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসও। শিবসেনার আরেক জোটসঙ্গীর প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন, "আমরা বিজেপিকে ক্ষমতায় আসা আটকাতে শিবসেনার সঙ্গে আছি। ইডি-র কারণে এই খেলা হচ্ছে। কংগ্রেস আস্থা ভোটের জন্য তৈরি। শিবসেনা যে কোনও দলের সঙ্গে জোট করতে পারে। আমাদের কোনও সমস্যা নেই।"
আরও পড়ুন ‘মুখ্যমন্ত্রীর দেখা মেলে না’, উদ্ধবকে তুলোধনা করে বিদ্রোহীদের চিঠি, ছত্রে ছত্রে বিস্ফোরক অভিযোগ
অন্যদিকে, শিবসেনার দুই বিধায়ক কৈলাস পাটিল এবং নীতিন দেশমুখ পালিয়ে এসেছেন গুজরাট থেকে। তাঁদের এদিন সংবর্ধনা দেয় দল। সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী জানিয়েছেন, "আরও বিধায়করা চলে আসবেন। তাঁদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। বাকিরা এক এক করে চলে আসবেন।"