ঘোর সংকটে মহারাষ্ট্র, এনসিপি-র ডেডলাইন শেষের আগেই জারি করা হল রাষ্ট্রপতি শাসন। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারকে রিপোর্টও পাঠান রাজ্যপাল। এরপরই মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শেষমেশ রাজ্যপালের সুপারিশে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে ভাঙনের মুখে এনডিএ, একলা লড়ার ঘোষণা এলজেপির
এদিকে, সরকার গঠনে অতিরিক্ত সময় না দেওয়ায় এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা। আজ, বুধবার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি হতে পারে। সোমবার সন্ধেয় আদিত্য ঠাকরে-সহ শিবসেনা নেতারা রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় ৩ দিন সময় চান তাঁরা। কিন্তু শিবসেনার সেই দাবি নাকচ করে দেন রাজ্যপাল। এদিকে সরকার গড়তে আজ রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এনসিপি-কে ডেডলাইন দিয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: বিরল বন্ধুত্ব! পাওয়ারের প্রতি বরাবরই দুর্বল শিবসেনা
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিনের পুরনো শরিক শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছোয়। এরপরই বিকল্প সরকার গড়ার চাল চেলে মহারাষ্ট্রের কুর্সি দখলের পথে পা বাড়ান উদ্ধব ঠাকরেরা। সোমবার সন্ধে পর্যন্ত মহারাষ্ট্রবাসী একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যান যে, সে রাজ্যে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এবার শিবসেনা-এনসিপি সরকার গড়ছে। এদিকে, শিবসনো-এনসিপি সরকারকে সমর্থনের বিষয়টি ঝুলেই রেখেছে কংগ্রেস। ফলে রাজ্যপালের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে আরও সময় চান আদিত্য ঠাকরেরা। তবে শিবসেনাকে বাড়তি সময় না দিয়ে এনসিপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল। যা আজ রাত সাড়ে ৮টায় শেষ হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে রাজ্যপালের রিপোর্ট এ পর্বে নয়া মোড় নিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ডেডলাইন ফুরনোর আগে জোটসঙ্গী কংগ্রেসের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে শরদ পাওয়ারের দল। এর আগে এনসিপি প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। ‘মহা’জট কাটাতে কংগ্রেসের তিন শীর্ষ নেতা আহমেদ পটেল, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও কে সি বেণুগোপাল মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন। মুম্বইয়ে এদিন তাঁরা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে খবর।
Read the full story in English