মহারাষ্ট্রেও সিএএ ও এনআরসি লাগু হবে না: শরদ পাওয়ার

'সিএএ ও এনআরসি লাগুর ফলে দেশের ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুণ্ণ হবে। ফলে দেশের করুন অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরে যাবে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।'

'সিএএ ও এনআরসি লাগুর ফলে দেশের ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুণ্ণ হবে। ফলে দেশের করুন অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরে যাবে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শরদ পাওয়ার

মহারাষ্ট্রে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি লাগু হবে না। বিজেপিকে কটাক্ষ করে শনিবার পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন মারাঠা রাজনীতির 'চাণক্য' শরদ পাওয়ার। মোদী-শাহ জুটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়া আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি লাগু করতে মরিয়া বলে মনে করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দেশের বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই সিএএ ও এরআরসি প্রয়োগ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় শাসক দল।

Advertisment

দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। সেখান থেকে কৌশলে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই সিএএ ও এরআরসি বাস্তবায়ণে উদ্যোগী বিজেপি সরকার। শনিবার জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস নেতা শরদ পাওয়ার বলেন, 'বিজেপির কৌশলের অন্যতম অংশ সিএএ ও এনআরসি। এর ফলে দেশের ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুণ্ণ হবে। ফলে দেশের করুন অর্থনীতি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরে যাবে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে।'

দেশের আট রাজ্যের সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি লাগু করা হবে না। তালিকায় নাম রয়েছে এনডিএ শরিক জেডিইউ শাসিত বিহারের। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন তাঁর রাজ্যে কোনওভাবেই এনআরসি লাগু হবে না। বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ বলেন, 'মহারাষ্ট্রেরও উচিত একই পদক্ষেপ করা।'

Advertisment

আরও পড়ুন: আগুনে প্রতিবাদ, বেসুরো শরিক, দেশজুড়ে এনআরসি নিয়ে পিছু হঠার ইঙ্গিত মোদী সরকারের

সিএএতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ও পার্সি শরণার্থী ভারতে এসেছে, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ধরনের আইন প্রণয়নে কেন্দ্র কেন এই তিনটি রাষ্ট্রকেই বেছে নিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এনসিপি প্রধান। কোন যুক্তিতে শ্রীলঙ্কা থেকে এদেশে আসা তামিল শরণার্থীরা নয়া আইনে জায়গা পেলেন না তাও জানতে চান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

দিল্লি, লখনউ, হায়দরাবাদ, কলকাতা সহ দেশের প্রায় ১০ বড় শহর সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে মুখর। প্রতিবাদের সুর শোনা গিয়েছে পুনে সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলা থেকে। রাজ্যের নান্দেদ, পারভানি, হিঙ্গলীতে আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। অভিযোগ, সিএএ প্রতিবাদকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। পুনেতে প্রায় ২০,০০০ বিক্ষোভকারী মিছিল করে। শুক্রবার নমাজের পর চলে মৌন মিছিলও। এদিকে, সিএএ ও এনআরসির পক্ষে নাসিকে মিছিল করে এবিভিপি।

Read the full story in English

Maharashtra ncp nrc caa