মহারাষ্ট্রের রাজনীতি গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধায়কপদ খারিজের নোটিস জারি করেছিলেন ডেপুটি স্পিকার। বদলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়করা। তার প্রেক্ষিতে এবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকেই নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। নোটিসে বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ তথা বিধায়কপদ খারিজের কারণ জানতে চাইল শীর্ষ আদালত। শুধু ডেপুটি স্পিকারই নয়। এই মামলায় মহারাষ্ট্র বিধানসভার সচিব এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষকেও হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১১ জুলাই।
এর আগে ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল মহারাষ্ট্র বিধানসভায় একনাথ শিন্ডের জায়গায় অজয় চৌধুরিকে শিবসেনার বিধায়কদলের নেতার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, শিন্ডে ও বিদ্রোহী ১৫ বিধায়কের বিধায়কপদ কেন খারিজ করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে চেয়ে নোটিস দিয়েছিলেন। এই দুটি বিষয়েই শীর্ষ আদালতে দুটি আবেদন দায়ের হয়েছে। তারই শুনানিতে সোমবার আদালত মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিল।
তাঁরা কেন সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে এসেছেন। কেন বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হননি? শীর্ষ আদালতে এই প্রশ্নে একনাথ শিন্ডের আইনজীবী বলেন, 'বিধানসভায় শিবসেনার পরিষদীয় দলের মুষ্টিমেয় অংশ রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। তারা হুমকি দিচ্ছে যে মুম্বই থেকে আমার মক্কেলদের মৃতদেহ ফিরবে। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে আদালতের দ্বারস্থ হতে আমার মক্কেলরা সাহস পাননি।'
আরও পড়ুন- বিদ্রোহীদের পাশে মোদী সরকার, শিণ্ডে শিবিরের ১৫ বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা শাহের মন্ত্রকের
এর মধ্যেই ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট তীব্র করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করল শিবসেনা। দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শিবসেনা আগেই অভিযোগ করেছিল, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের ইডিকে দিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। বাধ্য হয়ে তারা বিদ্রোহ করেছে। আর, সেই অভিযোগ করেছিলেন খোদ সঞ্জয় রাউত।
তবে, দলের একাংশের এই বিদ্রোহের মধ্যেও সঞ্জয় রাউত বরাবর শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পাশেই ছিলেন। কিন্তু, এবার সেই রাউতকেই তলব করা হল। ২৮ জুন মঙ্গলবার তাঁকে ইডির কাছে হাজিরা দিতে হবে। মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে পাত্র চাউল পুননির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে রাউতকে তলব করেছেন ইডির তদন্তকারীরা। এমনটাই জানানো হয়েছে সেনার তরফে।
Read full story in English