মুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রশ্নে ৫০-৫০ ফর্মুলা কার্যকর করতে হবে। ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই এই শর্তে অনড় ছিল শিবসেনা। তাতেই বিচ্ছেদ পাকা হয় শিবসেনা ও বিজেপির। সেই সময় থেকেই অবশ্য রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরার সলতে পাকানো শুরু করেছে কংগ্রেসের মহারাষ্ট্রের নেতারা। বিকল্প সরকার গড়তে প্রথমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান বলেছিলেন কং-এনসিপি জোটের উচিত শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা এগনো।
সেই সময় অবশ্য ওই কথায় আমল দেননি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আদর্শগত ফারাকের কথা বলে বিষয়টি নাকচ করে দেন সোনিয়া। বিজেপি ছাড়া জোট গড়তে আলোচনা শুরু করে শিবসেনা। কথা বলে এনসিপির শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। কথা এগোতেই উৎসাহী হয়ে পড়েন রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেকথা হাইকম্যন্ডকে জানানো হলেও তেমন গুরুত্ব দেননি দলেনেত্রী। উল্টে তিনি অনেকটাই ছিলেন নিষ্প্রভ।
আরও পড়ুন: ফড়নবীশকে সমর্থনের চিঠি তলব সুপ্রিম কোর্টের, সোমবার শুনানি
এরপরই পৃথ্বীরাজ চৌহান রাহুল গান্ধীকে দিয়ে সোনিয়ার উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। রাহুল সোনিয়ার মত মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনে শিবসেনার সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে অতটা অনড় ছিলেন না। এরপর মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়ক ও নেতাদের জোরাল হতে থাকে। ফলে কিছুটা নরম হন সোনিয়া গান্ধী। এরপরই মূলত কংগ্রেসের শর্ত মেনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন শিবসেনার সাংসদরা। মহারাষ্ট্র নিয়ে ক্রমশ মানসিকতার বদল হয় কংগ্রেস সভানেত্রীর। তৈরি হয় কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা জোটের ন্যূনতম কর্মসূচি। প্রায় চূড়ান্ত হয় জোট।
কিন্তু, শনিবার সকালে মহারাষ্ট্র রাজনীতির নাটকীয় বদলের পর হতভম্ব সোনিয়া গান্ধী। পুরো ঘটনায় শরদ পাওয়ারের উপর অসন্তুষ্ট সোনিয়া গান্ধী। পাওয়ারের ব্যবহারে বেশ কয়েকটি খুঁত উঠে আসছে কংগ্রেস নেতৃত্বের স্ক্যানারে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কেন বৈঠক করলেন পাওয়ার? সেদিনও পোক্ত সরকার গঠনের জন্য আরও বৈঠক প্রয়োজন বলে দাবি করেন এনসিপি প্রধান। কেন বারে বারে ওই দাবি করা হচ্ছিল? কেন অপেক্ষা করতে বলা হয় কংগ্রেসকে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেক কংগ্রেস নেতা বলছেন অজিত পাওয়ার যা করলেন তা কী শরদ পাওয়ারের একটা কৌশল?
আপাতত, শিবসেনা, এনসিপি থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে কংগ্রেস। শনিবারের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেয়নি হাত শিবির। পরে আলাদা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আহমেদ পটেল। তোপ দাগেন শরদ ভাইপো অজিতের বিরুদ্ধে।
Read the full story in English