১৬৯ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষায় সফল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। এদিন আস্থা ভোটের শুরুতেই সরকার পক্ষ রুল মানছে না বলে হই-হট্টগোল শুরু করে বিজেপি। তাদের দাবি, 'বন্দেমাতরম' উচ্চারণ না করে জয় শিবাজী বলে অধিবেশন শুরু করা যায় না। উদ্ধব সরকার নিয়ম মানছেন না বলে প্রোটেম স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন দেবেন্দ্র ফড়ননবীশ। যা খারিজ করে দেন দিলীপ ওয়ালসে। প্রোটেম স্পিকার বলেন, 'রাজ্যপালের নির্দেশে এই অধিবেশন চলছে।' এরপরই সভা ছেড়ে বেরিয়া যান বিজেপি বিধায়করা। ফলে আস্থা ভোটে সহজেই জয় হাসিল করে আগাড়ি জোট। পরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, 'শিবাজীর নাম নেওয়া কোনও দোষের নয়।'
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। আগাড়ি জোটের দাবি ছিল তাদের সঙ্গে রয়েছেন ১৬২ জন বিধায়কের সমর্থন। শনিবার সকালেই শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত আবার সুর চড়িয়ে জানিয়েছিলেন ২৮৮ আসনের বিধানসভায় 'ম্যাজিক ফিগার' ১৪৫ হলেও তাদের পক্ষে ১৭০ বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তবে, শেষ পর্যন্ত ১৬৯ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার নিশ্চিত করেন উদ্ধব ঠাকরে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি আইন কাঠামো বদলের প্রস্তাব অমিত শাহর
এনসিপি নেতা দিলীপ ওয়ালসে পাটিল প্রোটেম স্পিকার পদে নিযুক্ত হয়েছেন। তার আগে প্রোটেম স্পিকারের পদ থেকে কেন কোলাম্বকারকে সরানো হল তা নিয়ে সোচ্চার বিজেপি। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্ব। আজ অবশ্য ওয়ালসের নেতৃত্বেই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হন মারাঠাভূমের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। আগামী ৩রা ডিসেম্বরের মধ্যে আগাড়ি জোটকে বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল কোশিয়ারি। কিন্তু, তার আগেই সফলভাবে অগ্নি পরীক্ষা দিল ঠাকরে সরকার। মন্ত্রীত্বের বিস্তার এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও জোটের তিন দল থেকে দু'জন করে মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনেই ঠাকরে মন্ত্রিসভার বিস্তার হবে। তার আগেই পোক্ত সরকার তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ জানিয়েছেন আগাড়ি জোটের নেতারা।
রবিবার মহারাষ্ট্রের স্পিকার নির্বাচন। স্পিকারই বিরোধী দলনেতা হিসাবে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের নাম ঘোষণা করবেন।
তবে, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর নাম এখনও চূড়ান্ত পারল না এনসিপি। অজিত পাওয়ার কী ওই পদ পেতে পারেন? জবাবে দলের রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিল বলেছেন, 'এই বিষয়টি শরদ পাওয়ার নিজে দেখছেন। তাঁর নির্দেশ মতই সব এগোবে।' রাজনৈতিক মহলের মতে, এক সপ্তাহ আগেই বিজেপিকে সমর্থন করে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন অজিত। তারপর ফের শরদ পাওয়ারের নেতৃত্ব মেনে সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। এরপর ভাইপোকে ক্ষমা করেছেন বড় পাওয়ার। এনসিপি সূত্রে খবর এমনটাই। কিন্তু, অজিতকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করলে জনমানসে কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে? তাই আপাতত জল মেপে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন এনসিপি প্রধান।
Read the full story in English