MAHESHTALA BY ELECTION 2018: ‘‘গণতন্ত্র রক্ষাই যখন কাজ, তখন ক্লান্তির প্রশ্ন নেই’’

টানা প্রায় দেড় মাস কর্নাটকে ভোটের ডিউটি করে এখানে এসেছেন। তবু তাঁর শরীরে কোনও ক্নান্তির ছাপ নেই।

টানা প্রায় দেড় মাস কর্নাটকে ভোটের ডিউটি করে এখানে এসেছেন। তবু তাঁর শরীরে কোনও ক্নান্তির ছাপ নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ক্লান্তিহীন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্মী (ফোটো- শশী ঘোষ)

ক্লান্তিহীন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্মী (ফোটো- শশী ঘোষ)

জয়প্রকাশ দাস

Advertisment

রাজ্য়ে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ভোট করতে হবে। ওই ভোট নিয়ে নানা টালবাহানা হলেও ভোট হয়েছিল রাজ্য়পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে। তবে সোমবার মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিআইএসএফ জওয়ানদের উপস্থিতিতে এদিনের নির্বাচনে বুথের নিরাপত্তা ব্য়বস্থা নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ করেনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিরোধীরা দাবি করতেই পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় এদিনের ভোটে কোনও অশান্তি হয়নি। নির্বাচন কমিশনও বুথে গন্ডগোল না হওয়ার কৃতিত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিতেই পারে।

এস আর মারাং। বাড়ি মেঘালয়ের শিলংয়ে। অজয় কুমার। বাড়ি উত্তরাখন্ডে, যশপাল সিং। বাড়ি বিহারে। এঁরা সবাই প্রায় দেড় মাস কাটিয়ে এসেছেন কর্নাটকে। ওই রাজ্য়ের বিধনসভা ভোটে শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব বর্তেছিল এই ইএসএফ জওয়ানদের। কর্নাটকের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করে জানালেন গণতন্ত্র রক্ষা করাই যে তাঁদের প্রধান কাজ, সে ব্যাপারে তাঁরা ওয়াকিবহাল।

৩০ বছর ধরে সিআইএসএফে আছে মারাং। তাঁর চােখে-মুখে সবসময় হাসি লেগেই আছে। কেমন দেখছেন এখানকার নির্বাচন? চটজলদি জবাব ভোটতো শান্তিতেই হচ্ছে। কর্নাটকের ভোটের সঙ্গে কোনও ফারাক? মারাংয়ের বক্তব্য়, ‘‘ওখানে রাজনৈতিক চাপ অনেকটাই কম বলে মনে হয়েছে। যে যার মত বুথে আসছে আর ভোট দিয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বেশি কিছু নয়। কিন্তু এখানে পরিস্থিতি একটু অন্য়রকম বলেই আঁচ করতে পারছি।’’ টানা প্রায় দেড় মাস কর্নাটকে ভোটের ডিউটি করে এখানে এসেছেন। তবু তাঁর শরীরে কোনও ক্নান্তির ছাপ নেই। গণতন্ত্রের প্রহরী হিসেবে ক্লান্তির কোনও প্রশ্ন নেই বলেই জানিয়ে দিলেন তিনি। আর এক জওয়ান অজয় কুমারের বক্তব্য়, ‘‘কর্নাটকের রাজনীতি অনেক রঙিন। এখানে তা নয়।’’

maheshtala byelection