মহেশতলা বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএমের জোট বাঁধার পর বিজেপি বেশ কিছুটা পরীক্ষার মুখেই পড়তে চলেছে। সাম্প্রতিক ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় স্থান দখলের ক্ষেত্রে ত্রিমুখী লড়াইয়ের চেয়ে চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি ভাল ফল করেছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও সিপিএমের ‘বোঝাপড়া’ হয়েছিল। সেবারে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ৭৬টিতে জিতেছিল তারা। এবং ১৯৫ টি আসনে হয় কংগ্রেস না হয় সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বিজেপি সে ভোটে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল এবং ৬টি আসনে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিল।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: ১৪ মে নির্বাচন ঘিরে জট, মঙ্গলে ফের শুনানি, হাইকোর্টে ধাক্কা কমিশনের
চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভালো ফল করছে বিজেপি
যেসব ভোটে বাম ও কংগ্রেস একলা চলার নীতি নিয়ে চলেছে, সে সব ভোটে প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে থেকেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুবারের বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যুর পর এই আসনটি শূন্য হয়েছে। ২০১১ সাল পর্যন্ত মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রটি সিপিএমের দখলে ছিল। রাজ্যে পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে আসে। ২০১১ সালে কস্তুরী দাস ২৪, ২৮৩ ভোট জয়লাভ করেন। ২০১৬ সালে তিনি সিপিএম প্রার্থীকে হারান ১২, ৪৫২ ভোটে। ২০১১ সালে এ কেন্দ্রে বিজেপি ৩, ৬৮৯টি ভোট পেয়েছিল। ২০১৬ সালে গেরুয়াবাহিনী পায় ১৪, ৯০৯ ভোট। এবারের উপনির্বাচন হবে ২৮ মে। ভোট গণনার তারিখ ৩১ মে।
এবারের ভোটে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন প্রয়াত কস্তুরী দাসের স্বামী দুলাল দাস। এ কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী প্রভাত চৌধুরী। বিজেপি এখনও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম ঘোষণা করেনি।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলছেন, সাম্প্রতিক ভোটে তাঁদের পার্টি ভাল ফল করছে। তিনি বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। একদিকে রাজ্যসভায় এ রাজ্য থেকে নিজেদের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য তারা টিএমসি-র সমর্থন চাইছে, আর অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থান পাওয়ার জন্য কংগ্রেসের হাত ধরছে।’’
বিজেপি-র এক বর্ষীয়ান নেতার দাবি মহেশতলা উপনির্বাচনে তাঁদের ভোট আগের চেয়ে বাড়বে।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: বিনা লড়াইয়ে ৩৪ শতাংশেরও বেশি আসন দখল তৃণমূলের