তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সাংসদ মহুয়া মৈত্র বুধবার মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন যে মোদী সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মহিলা সংরক্ষণ বিলম্বিত করছে। শুধু তাই নয়, মহুয়া মৈত্রের কটাক্ষ যে এই বিলটির নাম পরিবর্তন করে 'মহিলা সংরক্ষণ পুনর্নির্ধারণ বিল' রাখা উচিত। তিনি মনে করিয়ে দেন, সংসদে যখন মাত্র ১৫ শতাংশ মহিলা সাংসদ, সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত সাংসদের ৩৭ শতাংশ মহিলা। যার মধ্যে তিনি নিজেও একজন। অর্থাৎ, তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই আপনি আচরি ধর্ম মেনে দেশকে পথ দেখাচ্ছে।
তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'যখন এই সরকার গরু রক্ষা করতে চেয়েছিল, তখন গরুর সংখ্যা গণনা করার জন্য অপেক্ষা করেনি।' তিনি বোঝাতে চান যে, মহিলা সংরক্ষণ বিলের ক্ষেত্রে কিন্তু, সেই নরেন্দ্র মোদীর সরকারই মহিলাদের সংখ্যা গণনার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়। বিলে, তেমনটাই বলা আছে। সেই কারণে এই বিলকে স্রেফ ধোঁকাবাজি বলেও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, '২০২৪ সাল ভুলে যান। এই বিল ২০২৯ সালে কার্যকর করাও সম্ভব না হতে পারে।'
আর, এই প্রসঙ্গেই বিলকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'এই সরকার বিলের নামে সংসদে যা এনেছে, তা মহিলাদের সংরক্ষণ বিল নয়। এটি একটি মহিলা সংরক্ষণ পুনর্নির্ধারণ বিল। এর লক্ষ্য হল বিলম্ব। এর লক্ষ্য, কোনও মহিলা সংরক্ষণ নয়।' তৃণমূল সাংসদের এই ক্ষোভের কারণ, বিলে বলা হয়েছে আদমশুমারির পর মহিলা সংরক্ষণ কার্যকর হবে। কিন্তু, পরবর্তী আদমশুমারি কবে হবে এবং কখন সেই সংরক্ষণ হবে, তা নিয়ে বিলে বিভ্রান্তি রেখে দেওয়া হয়েছে। যার অর্থই হল মহিলা সংরক্ষণ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন- মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে চারিদিকে ব্যাপক নাচানাচি! কিন্তু, বাস্তবটা কী বলছে?
আরও পড়ুন- কংগ্রেস কেন বলছে মহিলা সংরক্ষণ বিল আসলে তাদেরই, কী করেছিলেন রাজীব গান্ধী?
এমনটাই অভিযোগ মহুলা মৈত্রের। তিনি বলেন, 'দাবি করা হচ্ছে যে, এটি একটি ঐতিহাসিক বিল। কিন্তু, এটি কোনও ঐতিহাসিক বিল নয়। এটা একটা প্রতারণা। নারী সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপের প্রয়োজন। আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক বিলম্ব নয়।' মোদী সরকারের আনা 'নারীশক্তি বন্দন বিল' বা মহিলা সংরক্ষণ বিল ইস্যুতে বিতর্কে অংশ নিয়ে এমনটাই জানিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ।