ফের ভাঙন কংগ্রেসে। এবার হাত ছাড়লেন ফারাক্কার পাঁচবারের বিধায়ক মইনুল হক। ইতিমধ্যেই দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছন তিনি। জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও দলের তরফে ঝাড়খণ্ডের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন মইনুল হক।
Advertisment
সূত্রের খবর, তৃণমূলে যোদগান করতে পারেন মইনুল হক। ৩০ সেপ্টেম্বর জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট হবে। ২৩ তারিখ প্রচারে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই অভিষেকের সভায় জোড়া-ফুলের পতাকা ধরতে পারেন পাঁচবারের প্রাক্তন এই বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতাও ওইদিন ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন।
এমনিতেই রাজ্যে দূরবীণে খুঁজতে হয় কংগ্রেস নেতা, কর্মীদের। একুশের ভোট বামেদের সঙ্গে আসন রফা করেও জোটেনি একটিও আসন। এমনকী জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জে ভোট নিয়েও বেকায়দায় হাত শিবির। কংগ্রেসের প্রতীকে মনোনয়ন দাখিল করলেও পরে জইদুর রহমান ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ভোটে লড়াইয়ে সম্মত হয়েছেন। অধীর চৌধুরীর খাসতালুক হলেও মুর্শিদাবাদেই কঠিন লড়াইয়ের সামনে কংগ্রেস। এর মধ্যে জেলার বর্ষীয়ান নেতার দলত্যাগ শতাব্দী প্রাচীন দলের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
এবার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস টিকিতে ফারাক্কা থেকে লড়াই করেও তৃণমূলের কাছে হার স্বীকার করতে হয় তাঁকে। এরপরই দলের সঙ্গে বর্ষীয়ান এই নেতার দূরত্ববাড়ছিল বলে সূত্রের খবর। কেন হঠাৎ দলত্যাগ? এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন মইনুল হক। জানা গিয়েছে, ঘনিষ্ঠদের কাছে প্রাক্তন বিধায়ক জানিয়েছেন যে, কংগ্রেসে থেকে লড়াই করা যাচ্ছে না। এলাকার উন্নয়নও হচ্ছে না। বিজেপিতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই জোড়া-ফুলেই আপাতত আস্থা রাখতে চাইছেন একদা হাত শিবিরের এই নেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন