বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ছেন নীতীশ কুমার। এই জল্পনার মাঝে বিহারের প্রশাসনিক স্তরে ব্যপক রদবদলের নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রদফতর। ২২ আইএএস-এর পর বিহারে রাতারাতি বদলি করা হয়েছে ৭৯ জন আইপিএস কেও। শুক্রবার গভীর রাতে স্বরাষ্ট্র দফতরের এই নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। অধিকাংশ জেলার এসপিদের বদল করা হয়েছে । এর আগে ২২ জন আইএএস আধিকারিককে বদলি করে নীতীশ সরকার। যার মধ্যে রয়েছেন পাটনার ডিএম চন্দ্রশেখরও। পাশাপাশি দারভাঙ্গা, জেহানাবাদ, নবগাছিয়া, আরারিয়া, সিওয়ান, পূর্ণিয়া, সহরসা, মুঙ্গের, মাধেপুরা, শেখপুরা, বেগুসরাই, খাগরিয়া, বাগাহা, আরওয়াল সহ একাধিক জেলার এসপিদের বদল করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের নতুন আদেশের প্রভাব পড়বে গোটা রাজ্যে।
বিজেপির সঙ্গে যোগ দিতে পারেন নীতিশ কুমার। জল্পনার মাঝেই একাধিক জেলার ডিম, এসপিদের বদলির নির্দেশ জারি করে স্বরাষ্ট্রদফতর। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে যে এনডিএ জোট একদা ছেড়েছিলেন নীতিশ সেই জোটেই তিনি ফিরতে চলেছেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝিও আরজেডি (RJD) এবং জেডিইউয়ের জোট ভেঙ্গে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী জানিয়েছেন যে যে কোন সময় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে । রাজনীতিতে কোন কিছুই স্থায়ী হয়না বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। সমস্ত বিরোধীদের একত্রিত করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ার উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ইণ্ডিয়া জোট গঠনেও তিনি মুখ্যভূমিকা পালন করেছিলেন। পাটনায় নিজবাসভবনে তিনি ইণ্ডিয়া জোটের প্রথম বৈঠক ডাকেন। এবার নীতিশ কুমার যদি এনডিএ জোটে পা রাখেন তাহলে সেটি হবে চতুর্থ বারের জন্য পরিবর্তন। বিহার বিধানসভায় ২৪৩ টি আসনের মধ্যে আরজেডির রয়েছে ৭৯ টি, বিজেপির রয়েছে ৭৮ টি, জেডিইউয়ের রয়েছে ৪৫ টি, কংগ্রেসের রয়েছে ১৯ টি, সিপিআই এম এল ১২ টি, হিন্দুস্তানী আওয়াম মোর্চার রয়েছে ৪ টি, এআইএমআইএম এর রয়েছে ১ টি এবং নির্দল ১ টি।
শনিবার পদত্যাগ করতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়কও তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেই সূত্রের খবর। এর আগে সূত্র মারফত খবরে জানা গিয়েছিল, নীতীশ কুমার রবিবার জেডি(ইউ)-বিজেপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন। বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী হতে চলেছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী।