সিবিআই মামলায় নয়া মোড়। সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে অলোক ভার্মার অপসারণ নিয়ে এবার আরও উঠেপড়ে লাগলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। সিভিসি রিপোর্ট ও ভার্মাকে নিয়ে বিচারপতি এ কে পট্টনায়কের রিপোর্ট জনসমক্ষে আনার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বিরোধী নেতা। একইসঙ্গে ১০ জানুয়ারির বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানানোর দাবি জানিয়েছেন খাড়গে।
মোদীকে লেখা চিঠিতে খাড়গে উল্লেখ করেছেন, এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হলে জনগণ তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এ বিষয়ে। একইসঙ্গে দ্রুত সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর নিয়োগের ব্যাপারেও চিঠিতে আলোকপাত করেছেন খাড়গে।
আরও পড়ুন, ‘‘দুর্নীতির প্রমাণ নেই, ভার্মাকে নিয়ে সিলেক্ট কমিটির সিদ্ধান্ত হঠকারী’’
দু’পাতার লেখা চিঠিতে খাড়গে বলেছেন, ‘‘গত ১০ জানুয়ারি অলোক ভার্মার অপসারণ কোনও আইনি প্রক্রিয়া মেনে হয়নি।’’ তিনি আরও বলেছেন, একটা বহিরাগত সংস্থার তৈরি করা রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রশাসন, আইন, বিচার ব্যবস্থার তিন শীর্ষ প্রতিনিধির কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোনো উচিত নয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সিলেক্ট কমিটি যে রিপোর্টের ভিত্তিতে ভার্মাকে অপসারিত করেছে, সেই রিপোর্টই নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিচারপতি পট্টনায়ক। যিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভার্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের নজরদারিতে রয়েছেন। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর পদে নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ ‘বেআইনি’ বলে বর্ণনা করেছেন খাড়গে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টরের পদে এম. নাগেশ্বর রাও-এর নিয়োগ। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর হিসেবে নাগেশ্বর রাওকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার যে নির্দেশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগকারী প্যানেল ১০ জানুয়ারি দিয়েছে, তা এখন ফের আদালতের বিচারাধীন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আবেদনে বলা হয়েছে, সরকারকে স্থায়ী ডিরেক্টর নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, ভার্মাকে ফের সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারিত করেছে তিন সদস্যের সিলেক্ট কমিটি। যে কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও বিরোধী নেতা। ভার্মাকে অপসারণ নিয়ে সেদিনের সিলেক্ট কমিটির বৈঠকে ভোটাভুটি হয়। ২-১ ভোটাভুটিতে সিবিআইয়ের অধিকর্তার পদ থেকে অপসারিত করা হয় ভার্মাকে। সেদিনের বৈঠকে প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন প্রবীণ বিচারপতি এ কে সিক্রি। একমাত্র বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেই ভার্মাকে সরানোর ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। উল্লেখ্য, ভার্মার অপসারণের পক্ষে যেভাবে ভূমিকা পালন করেছেন বিচারপতি সিক্রি, তাতে সমালোচনা হয়েছে দেশজুড়ে। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট আর্বিট্রাল ট্রাইবুনাল-এর সদস্যপদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ওই বিচারপতি।
Read the full story in English