ইডি-সিবিআই-কে অপব্যবহারের অভিযোগ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে, ইডি দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকার একটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চলাকালীন সময়ে তেজস্বী যাদব নিজে সেখানে হাজির ছিলেন। হাজির ইডির এই অভিযান নিয়ে গর্জে উঠলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
একটি টুইট বার্তায় কংগ্রেস সভাপতি খড়গে লিখেছেন, "বিরোধী নেতা-নেত্রীর উপর ED-CBI-এর অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করার জঘন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার। পলাতকরা যখন দেশ থেকে কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছিল তখন মোদি সরকারের সংস্থাগুলো কোথায় ছিল? মোদীর 'বেস্ট ফ্রেন্ড'-এর সম্পদ যখন আকাশছোঁয়া তখন কেন তদন্ত হয় না? জনগণ এই স্বৈরাচারের যোগ্য জবাব দেবে!
ইডির এই অভিযান প্রসঙ্গে লালু প্রসাদ যাদব বলেন, ‘আমার মেয়ে, ছোট নাতনি ও গর্ভবতী পুত্রবধূকে বসিয়ে রাখা হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। চলেছে অভিযান’। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “আমরা জরুরি অবস্থার সময়ও দেখেছি। আজ আমার কন্যা, ছোট নাতনি এবং গর্ভবতী পুত্রবধূকে ‘ভিত্তিহীন প্রতিশোধমূলক মামলায়’ বিজেপির ইডি ১৫ ঘন্টা ধরে বসিয়ে রেখেছে। বিজেপি কি এত নিম্ন স্তরে নেমে আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই করবে”?
অন্য একটি টুইটে লালু যাদব বলেছেন, "সঙ্ঘ এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আমার লড়াই ছিল এবং ভবিষ্যতেও তা চলবে।" আমি তাদের সামনে কখনও মাথা নত করিনি এবং আমার পরিবার ও দলের কেউ আপনাদের নোংরা রাজনীতির সামনে মাথা নত করবে না”।
সূত্রের খবর,অভিযানের ইডি নগদ ৫৩ লক্ষ টাকা, ৫৪০ গ্রাম সোনা এবং ১.৫ কেজি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে। সূত্রের খবর, ইডি দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকার একটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় যেখানে তেজস্বী যাদব হাজির ছিলেন। এই বাড়ির ঠিকানা একে ইনফোসিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির নামে। যাদব পরিবার এটিকে তাদের আবাসিক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ইউপিএ-১ সরকারের সময় কথিত কেলেঙ্কারি হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে যে ২০০৪-২০০৯ সময়কালে ভারতীয় রেলের বিভিন্ন জোনে গ্রুপ ডি-পদে তে বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং এর বিনিময়ে তারা তাদের জমি তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ এবং এ কে ইনফোসিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেডের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।