এবারের ভবানীপুরের ভোট নানা আঙ্গিকে আলাদা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে সবকটিতেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এতেই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়ে ধন্যবাদ জানালেন ভবানীপুরকে, বললেন, 'এই কেন্দ্রের ভোটারদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।'
Advertisment
২০১৬-র বিধানসভা হোক বা ১৯-য়ের লোকসভা। এমনকী এপ্রিলের ভোটেও ভবানীপুরের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে সবকটিতে কখনওই জেতেননি তৃণমূল প্রার্থীরা। কিন্তু, এবার উপনির্বাচনে খোদ প্রার্থী মমতার হাত ধরেই এলো সাফল্য। ভবানীপুরের আটটিতেই এগিয়ে রেকর্ড মার্জিনে লড়াই শেষ করলেন তৃণমূল।
এদিন রেকর্ড ব্যবধানে ভোটে জয়ের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। বলেন, 'ভবানীপুরের সব ভোটারদের ধন্যবাদ। প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছি। সব ভাষাভাষীর মানুষের ভোট পেয়েছি। এটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কোনও ওয়ার্ড আমাদের হারায়নি। ভবানীপুরের ৪৬ শতাংশ ভোটার অবাঙালি। সবাই এবার আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অতীতে এরকম হয়নি। ২০১১ হোক বা ২০১৬, ২০১৯-য়েও আমরা এখানকার সব ওয়ার্ড জিতিনি। কিন্তু এবার জিতলাম।'
এরপরই নিজের উচ্ছ্বাসের কথা তুলে ধরেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, 'গোটা দেশ আজ ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল, ভবানীপুর দেখিয়ে দিল। আমার মন আজ খুশিতে ভরে গিয়েছে।'
উল্লেখ্য, একুশের ভোটে ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৭০ ও ৭৪ নং ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি। অবাঙালি ভোটার আধিক্যকে এর জন্য দায়ী করা হয়। তবে, উপনির্বাচনের লড়াইয়ে এই দুই ওয়ার্ডেই গেরুয়া শিবিরকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে লিড পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরপরই এই দুই ওয়ার্ডে অলআউট ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বাড়ি-বাড়ি ধরে প্রচার চালিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। এইসব ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রচারে কার্যত ঝড় উঠেছিল। ভোটের ফলাফলে তারই প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিন নন্দীগ্রামে ভোটের ফলকে ফের 'ষড়যন্ত্র' বলে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'নন্দীগ্রামে চক্রান্ত করে হারানো হয়েছিল আমাকে। সবটাই এখন কোর্টে বিচারাধীন। সব চক্রান্তকে জব্দ করেছেন ভবানীপুরের মানুষ। এতে আমরা উৎসাহিত। আরও কাজ করব। আমি কৃতজ্ঞ।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন