বিজেপি বধে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। ৮ই ফেব্রুয়ারি লখনউতে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবেন মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতেও। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই প্রচার সফর নিয়েই তাঁকে পরামর্শ দিলেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পরামর্শের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে উত্তরপ্রদেশে গেলে লাভ বিজেপি-রই হবে। ভোট বাড়বে গেরুয়া শিবিরের।
পরামর্শের ঢঙে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'উনি উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছেন খুব ভালো কথা। এটুকু বলতে পারি যে ওনাকে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বহিরাগত বলবে না। বা তাঁর হেলিকপ্টার নামা আটকাবে না। আর মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ যেভাবে হিন্দিতে আমরা শুনি ওই হিন্দিতে যদি ওখানে দোভাষী না নিয়ে লোককে গিয়ে বলেন, তাহলে উত্তরপ্রদেশের মীরাট থেকে গোরক্ষপুর পর্যন্ত ওই হিন্দি কেউ বুঝবেন না- তা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি।'
আরও পড়ুন- ‘ক্ষমতায় এলেই তৃণমূলের হার্মাদদের পুলিশ দিয়ে এনকাউন্টার’, হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়কের
মঙ্গলবারই অখিলেশ যাদবের দূত কিরণময় নন্দ মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানেই মমতার সঙ্গে বৈঠক শেষে কুরমণয় নন্দ দাবি করেছিলেন যে, জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী মুখ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ওনাকে প্রচারে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাল্টা শুভেন্দু দাবি করেছেন মমতা গেলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ভোট বাড়বে। কোন সমীকরণে এই দাবি করলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা?
জবাবে, শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'প্রথমত- কিরণময় নন্দ এখন রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক। দ্বিতীয়ত- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দুরা এখন হিন্দু বিরোধী বলে মনে করেন। কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরা, শ্রীরামের জন্মস্থান অযোধ্যা, বাবা বিশ্বনাথের কাশীধাম, সেখানে উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দলের হয়ে প্রচার করবেন, সনাতনীরা সেই দলকে হারাতে আরও বেশি করে জোট বাঁধবেন।'
আরও পড়ুন- বিরাট ধাক্কা অখিলেশের, মুলায়মের পুত্রবধূ অপর্ণা গেলেন বিজেপিতে
শুভেন্দুর সংযোজন, 'ভোট পরবর্তী হিংসায় বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল যেভাবে সনাতনী, দলীতদের উপর অথ্যাচার করেছেন সেখানে তিনি গেলে বিজেপির ভোট বাড়বে, কমবে না।'
বাংলা থেকে বিজেপির কোনও পদাধিকারী উত্তরপ্রদেশেের নির্বাচনে প্রচারে যাবেন? বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'আমাদের রাষ্ট্রীয় দল, কাকে কোথায় পাঠাবে তা ঠিক করে দল। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে বিজেপি এত শক্তিশালী যে এখান থেকে কাউকে নিয়ে গিয়ে প্রচারের প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না। যোগীজিকে এই রাজ্যে প্রচারের জন্য আমাদের প্রয়োজন, মনে হয়না যোগীবাবার আমাদের কোনও প্রয়োজন রয়েছে।'