ঠাকুরনগরে বড়মার জন্মদিনে মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীনাপানী দেবীকে বাংলার সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গ বিভূষণের পাশাপাশি হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়, মতুয়া সংঘ বিকাশ পর্ষদ, ঠাকুরনগরকে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি সহ এক গুচ্ছ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রস্তাবিত জমিতে আগামিকালই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড লাগানোর নির্দেশ দিলেন প্রশাসনকে। একই সঙ্গে মমতা জানিয়ে দিলেন, তিনি "মতুয়াদের একজন"। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে চমক বলেই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: NRC নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী আইনি কর্মসূচীর পরিকল্পনা মতুয়া সম্প্রদায়ের
বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে মতুয়া সংঘের বড়মা বীনপানী দেবীর জন্মশতবর্ষে হাজির হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ভাষণে মতুয়াদের জন্য একের পর এক ঘোষণা করতে থাকেন তিনি। মমতা বলেন, "মতুয়াদের জন্য পিআর ঠাকুরের নামে আগেই কলেজ তৈরি হয়েছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। চাঁদপাড়ায় ৮.৮ একর জমি বাছা হয়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য। সেখানে খুব দ্রুত ভবন তৈরি হয়ে যাবে। তারপর পঠনপাঠন চালু হয়ে যাবে।" এই বিশ্ববিদ্যালয় মতুয়াদের আন্দোলনের "প্রাপ্য সম্মান" বলে জানিয়ে দেন মমতা।
ঠাকুরনগরকে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরতেও উদ্যোগ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করেন, "ঠাকুরনগর পৃথিবীর ইতিহাসে জায়গা পাবে। সাজিয়ে তোলা হবে ঠাকুরনগরকে। এখানে পুকুর বাঁধানো হবে। আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। আকর্ষনীয় করে তোলা হবে।" পাশাপাশি মতুয়া সংঘ বিকাশ পর্ষদ গঠনের কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, "এর আগে নমশূদ্র বিকাশ পর্ষদ গড়েছে সরকার।"
মমতার দাবি, "এনআরসি নিয়ে নিম্নমানের রাজনীতি হচ্ছে। আসামে আমাদের সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ঢুকতে দেয়নি। এনআরসি দেখিয়ে বাঙালী খেদানো হচ্ছে। তবে আমরা সবসময় তাঁদের পাশে আছি।" এই প্রসঙ্গে "গুজরাট থেকে বিহারীদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে" বলেও ফের উল্লেখ করেন মমতা।
এদিকে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, "সামনে লোকসভা নির্বাচন বলে এখন মতুয়াদের কথা মনে পড়ছে। আগেও ঘোষণা করেছিলেন, হয়নি কেন? এত কিছু ঘোষণা করতে সাত বছর লাগলো কেন?" তাঁর কথায়, "যতই মতুয়া ভোট পাওয়ার চেষ্টা করুক, এবার আর তৃণমূল কংগ্রেস মতুয়াদের ভোট পাবে না। মতুয়ারা ওদের সঙ্গে নেই। তাঁদের আর বোকা বানানো যাবে না।"