সিএএ বিরোধী বৈঠক বয়কট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনিয়া গান্ধীর ডাকে বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো, সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনই খবর। আগামী ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়ার ডাকে সিএএ ইস্যুতে বিরোধীদের বৈঠক রয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বনধে বাম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বিরোধীদের বৈঠক বয়কট করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সোচ্চার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নয়া দিল্লিতে আগামী ১৩ জানুয়ারি সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, বুধবার পশ্চিমবঙ্গে বনধ ঘিরে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে বাম-কংগ্রেস, তা সমর্থন করি না। সে কারণেই বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’’।
আরও পড়ুন: ‘ভাইপোকে বাঁচাতে দালালি করেছেন মমতা’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বনধে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মালদার সুজাপুর। ৩৪নং জাতীয় সড়কে অবরোধ তুলতে গিয়ে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। এরপরই পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বনধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। এর জেরে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে খবর। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। ধর্মঘটীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ, শূন্যে গুলি ছোড়ে। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যোগীর পুলিশ যা করছে, এ রাজ্যে মমতার পুলিশও সেই এক কাজ করছে। যোগীর পুলিশ উত্তরপ্রদেশে গাড়ি ভাঙচুর করেছে, দোকানপাট ভাঙচুর চালিয়েছে, আর আজ মালদায় সুজাপুরে মমতার পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করেছে’’। বনধ ঘিরে সিপিএমকে কড়া বার্তা দেন মমতা। কোনওভাবেই বাংলায় বনধ মেনে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘মমতার প্ররোচনাতেই পুলিশ ও তৃণমূল হামলা চালিয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছে বাম-কংগ্রেস।
Read the full story in English