ডানা ছাঁটা হল মন্ত্রী শোভনদেবের, দফতর পেলেন শান্তিরাম ও বিনয়কৃষ্ণ

সম্প্রতি মালা রায়ের সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাসবিহারীর বিধায়ক শোভদেবের অনুগামীরা। বর্ষিয়ান মন্ত্রীর থেকে দফতর কেড়ে নেওয়ার পিছনে এই ঘটনার বড় প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি মালা রায়ের সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাসবিহারীর বিধায়ক শোভদেবের অনুগামীরা। বর্ষিয়ান মন্ত্রীর থেকে দফতর কেড়ে নেওয়ার পিছনে এই ঘটনার বড় প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য মন্ত্রিসভায় দফতর রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেভিওয়েট দুই মন্ত্রীর যেমন দায়িত্বের ভার লাঘব করা হল, তেমনই দফতর পেলেন দুই মন্ত্রী। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি দায়িত্ব কমানো হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যেয়ের। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়ের সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাসবিহারীর বিধায়ক শোভদেবের অনুগামীরা। বিষয়টি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। বর্ষীয়ান মন্ত্রীর থেকে দফতর কেড়ে নেওয়ার পিছনে এই ঘটনার বড় প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisment

বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গেই অচিরাচরিত শক্তি দফতরের-ও মন্ত্রী ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভায় দফতর রদবদলের পর আপাতত কেবল বিদ্যুৎ দফতর রইল শোভনদেববাবুর কাছে।

আরও পড়ুন: কেন লোকসভা ভোটে কোচবিহারে পরাজয়? কারণ বাতলালেন মমতা

অরেক বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রথম থেকেই পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফরের দায়িত্ব সামলেছেন। পরে তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর। এবার এই দফতর সুব্রতবাবুর কাছ থেকে নিয়ে দেওয়া হল মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতকে। লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। পুরুলিয়া সহ রাজ্যের পশ্চিমের জেলায় তৃণমূলের খারাপ ফলাফলের পর এতদিন দফতর বিহীন মন্ত্রী হয়ে ছিলেন বলরামপুরের বিধায়ক শান্তিরাম মাহাত।

Advertisment

আরও পড়ুন: ‘কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই কাটআউট রয়েছে, আমার তো নেই?’

ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে আরেক দফতর বিহীন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনেরও। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণের দফতরের দায়িত্ব পেলেন তিনি। এতদিন এই দফতরটি সামলাচ্ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্বের ভার লাঘব করা হয়েছে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর-ও। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং জৈব প্রযুক্তি দফতরের পাশাপাশি বন দফতর ছিল ব্রাত্য বসুর হাতে। তবে, দফতর রদবদলের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বনমন্ত্রী করা হয়েছে।

publive-image বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, মুখ্যমন্ত্রী ও শান্তিরাম মাহাত

২০১৯-এর লোকসভা ভোটে গেরুয়া ঝড়ে বেসামাল হয়ে পড়ে জোড়াফুল শিবির। ৪২টির মধ্যে ২২টি আসনে জয় পায় তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ ও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের একটি আসনও জয় মেলেনি রাজ্যের শাসক দলের। বিজেপির ব্যাপক উত্থানের পরই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে ঘর গোছাতে উদ্যোগ নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনে নজরদারিতে দায়িত্ব দেওয়া হয় নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে। গত কয়েক মাস ধরে দলের নেতা ও মন্ত্রীদের কাজের রিপোর্ট কার্ড বানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের টিম । সম্প্রতি সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে দলনেত্রী মমতার কাছে। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্ট উত্তরবঙ্গের নেতা বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ও পশ্চিমাঞ্চলের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত-র পক্ষে গিয়েছে। তারপরই দফতর পেলেন ওই দুই মন্ত্রী।

Read  the full story in English

Mamata Banerjee tmc