‘করোনা এক্সপ্রেস’ মন্তব্য় নিয়ে ব্য়াখ্য়া দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ভার্চুয়াল সভায় শাহের আক্রমণের ২৪ ঘণ্টা পর এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, ”আমি কিন্তু করোনা এক্সপ্রেস বলিনি, বলেছি পাবলিক বলছে। আমার প্রথম দিনের বক্তব্য় শুনলে বুঝতে পারবেন”।
উল্লেখ্য়, ক’দিন আগেই সাংবাদিক বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে কেন্দ্রের শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন প্রসঙ্গে মমতার মুখে ‘করোনা এক্সপ্রেস’ শব্দবন্ধ শোনা যায়। যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এদিকে, মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সভায় মমতাকে বিঁধে অমিত শাহ বলেন, শ্রমিক স্পেশালকে মমতাদি করোনা এক্সপ্রেস বলেছেন, এটাই তৃণমূল সরকারকে এক্সিট রুট দেখাবে।
এদিন 'করোনা এক্সপ্রেস' মন্তব্য় প্রসঙ্গে নবান্নে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''আমি কিন্তু করোনা এক্সপ্রেস বলিনি, পাবলিক বলেছে। আমার প্রথম দিনের বক্তব্য় শুনলে বুঝবেন''।
আরও পড়ুন: আজ বাংলার বড় খবর: ‘করোনা এক্সপ্রেস’ মন্তব্য়ের ব্য়াখ্য়া মমতার-সরকারি কর্মীদের জন্য় নয়া ঘোষণা-বাসন্তীতে গোষ্ঠীসংঘর্ষে হত তৃণমূলকর্মী-জুলাইতেও বন্ধ স্কুল!
এরপরই মোদী সরকারকে নিশানা করে মমতা বলেন, ''পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য় বিজেপির কোনও সহানুভূতি নেই। লকডাউনের ৩-৭ দিন আগে শ্রমিক স্পেশাল চালিয়ে যদি সকলকে বাড়ি পৌঁছে দিতেন, তাহলে তাঁদের অসহায় হয়ে দিন কাটাতে হত না। কেন ভাল লোকগুলোকে বিপদের মধ্য়ে ফেললেন?''।
পরিযায়ীদের প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী আরও বলেন, ''বাংলা থেকে কেউ কিন্তু ফিরে যেতে চাননি, কারণ, তাঁরা যত্নে রয়েছেন, কাজ রয়েছে এখানে। ১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন বাংলায়। ২৫৫টি ট্রেনের ব্য়বস্থা করা হয়েছে। ২২টি ট্রেন আসতে বাকি রয়েছে। আরও ৩০ হাজার লোক আসবেন রাজ্য়ে''।
অন্য়দিকে, এদিন করোনা মোকাবিলায় মোদী সরকারের লকডাউন নীতিকে দুষে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ”পরিকল্পনা না করেই লকডাউন করা হয়েছে। একদিকে বাইরে বেরোলে করোনার প্রকোপ, আরেকদিকে বাইরে না বেরোলে পেটের টান। কেন্দ্র বলেছিল, শ্রমিকদের টাকা কাটা যাবে না, কিন্তু মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। দেশজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কর্মে সর্বনাশ, পরিকল্পনায় বিনাশ। করোনার সময় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার দূরভিসন্ধি''।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন