দুদিন আগে দলীয় কর্মীসভাতেও কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য নতুন দাবি তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে অটোনমি করার দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ফের তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
এর আগে চিটফান্ড মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, নেতৃত্বকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। বারে বারে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণ করতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হয় বলে মমতার অভিযোগ। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিজেপি সরকার তুঘলকি শাসন কায়েম করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অনবরত বিরোধীদের রাজ্যগুলিকে অপদস্থ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তুঘলকি কায়দায় শাসন চালাচ্ছে। সরকার নিজে সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। ফেডারেল স্ট্রাকচারকে বুলডোজ করছে। এইরকম এত নিকৃষ্ট টাইপের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এমনকী হিটলারী আমলেও হয়নি, স্ট্যালিনও করেনি, মুসোলিনিও করেনি। আমি দেশকে ভালবাসি, মাতৃভূমিকে ভালবাসি। যা চলছে দেশে, দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমাদের না জানিয়ে বিহার থেকে এসে মলদায় ঘরবাড়ি ভেঙে দিল।'
চিটফান্ড কাণ্ড থেকে কয়লা-গরুপাচার কাণ্ডে একের পর এক তৃণমূল নেতৃত্বকে তলব করছে সিবিআই, ইডি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক কয়লাপাচার কাণ্ডে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এদিন ভোটপরবর্তী হিংসায় তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য অনুব্রত মন্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। সোমবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কার্যকলাপ নিয়ে ফের সুর চড়িয়েছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সব এজেন্সি খারাপ তা আমি বলব না। কিছু ভাল লোকও আছে। তাঁরা ঠিক করে কাজ করতে পারছে না। কারণ অটোনমি নেই। টোটাল অটোনমিটা দুজনের হাতে। এবং বিজেপির হাতে। আমি চাই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে অটোনমি দেওয়া হোক। তাঁরা নিরপেক্ষে ভাবে কাজ করবে আধুনিক ভারতে এটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক প্রতিহংসা চরিতার্থ করা উচিত হয়। এজেন্সিগুলি নিরপক্ষেভাবে তদন্ত করবে। সরকার শুধু তাদের মাইনে দেবে।'
আরও পড়ুন- বাংলায় আর দাম কমছে না জ্বালানির, মমতার বক্তব্যেই সাফ ইঙ্গিত