বিগত এক মাসে 'দিদিকে বলো'তে যোগাযোগ করেছেন ১০ লক্ষ ৩৫০ জন। এরমধ্যে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন ৪২ শতাংশ। আর এই সমস্যাগুলির মধ্যে ১৬১টি সমস্যা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধান করা হয়েছে। এক টুইট বার্তায় এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষকে এ জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: জেলে যেতে রাজি, স্বাধীনতা সংগ্রাম করছি, দেশ পরাধীন হয়ে গিয়েছে: মমতা
২৯ জুলাই নজরুল মঞ্চে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির সূত্রপাত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাক-এর তত্ববাধানেই এই কর্মসূচি চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে চালু করা হয়েছিল গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষের বাড়িতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের রাত্রি যাপনের কর্মসূচি। এই কর্মসূচিগুলির মূল লক্ষ্যই ছিল জনসংযোগ বৃদ্ধি করা। লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি ১৮টি আসনে জয় পাওয়ার পর আর সময় নষ্ট না করে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হয় তৃণমূল। তড়িঘড়ি কাজও শুরু করে দেয় আইপ্যাকও।
জানা গিয়েছে, একমাসে 'দিদিকে বলো'তে যোগাযোগ করেছেন মোট ১০লক্ষ ৩৫০ জন। এরমধ্যে ফোন করেছে ৮ লক্ষ ৬৩৫ জন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন ১,৯৯,৭১৫জন। রাজ্যবাসী নানা কারণে যোগাযোগ করেছে। তবে মূলত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথাই জানিয়েছেন ৪২ শতাংশ মানুষ। 'দিদিকে বলো'তে মতামত দিয়েছেন ৪ শতাংশ জনতা। গ্রামীণ জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ৫৫০ জন তৃণমূল বিধায়ক ও নেতা। তাঁরা ১,০২২টি গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি পরিচালনা করেছেন। সেখানে সভা করেছেন, গ্রামের সম্মানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন, স্থানীয়দের অভিযোগ শুনেছেন এবং পরামর্শ গ্রহণ করেছেন।
এটিকে 'অভূতপূর্ব সাড়া' বলে মনে করছে আইপ্যাক। তবে ১০ লক্ষের উপর মানুষ যোগাযোগ করলেও এই ৩০ দিনে সর্বমোট সংকটগ্রস্ত ২১৪ জন 'দিদিকে বলো'র মাধ্যমে দিদির অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্য়ে ১৬১ টি সমস্যা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধান করা হয়েছে।