আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই রাজ্যে রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোট হবে। আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ভোটে তৃণমূলের গলার কাঁটা হতে পারে বিক্ষুব্ধ প্রার্থী বা গোষ্ঠী কোন্দল। আঁচ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সময় থাকতেই এই প্রসঙ্গে দলীয় নেতা, কর্মীদের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কৃষ্ণনগর পুরসভার এলাকায় দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের উদাহরণ তুলে উদাহরণ মমতার বক্তব্য, ‘ দল কাকে প্রার্থী করবে, তা দলের ভাবনা। কাজ করে যেতে হবে সকলকেই। সকলকে নিয়ে চলতে হবে।’
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে সরাসরি মহুয়া মৈত্রের নাম নিয়েই তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘মহুয়া এখানে আমি একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই। আমি সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে অথবা ডিজিটালে অথবা পেপারে দিয়ে দিলাম, এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে চিরদিন নয়। একই লোক চিরদিন এক জায়গায় থাকবে এটাও মেনে নেওয়াটা ঠিক নয়। যখন ভোট হবে পার্টি ঠিক করবে কে লড়বে। এখানে মতপার্থক্যের কোনও জায়গা নেই। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এটা আমি বলে গেলাম।’
কেন হঠাৎ কৃষ্ণনগরের সাংসদের নাম করে দলকে বার্তা দিলেন মমতা? তৃণমূল সূত্রে খবর, আগে এই জেলায় সংগঠনের সভানেত্রীর ছিলেন মহুয়া মৈত্র। তাঁকে নিয়ে শাসক শিবিরের জেলা নেতৃত্বের অসন্তোষ ছিল। অভিযোগের কথা নাকি মতা-অভিষেকের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। পরে ‘এক পদ এক ব্যক্তি’ নীতি অনুসরণ করে মহুয়াকে জেলা সভানেত্রী পদ থেকে সরানো হয়। জানা গিয়েছে, একুশের ভোটে দক্ষিণবঙ্গেবতৃণমূল বিপুল আসন পেলেও রাণাঘাট এলাকায় ফল আশানুরূপ হয়নি। দলীয় পর্যালোচনায় গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করা হয়। প্রশ্ন উঠছে মহুয়া মৈত্রের ভূমিকা নিয়ে। ফলে এ দিনের প্রসাসনিক বৈঠকে কৃষ্ণনগরের সাংসদের নাম ধরেই দলের নেতা, কর্মীদের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন