মকরস্নানে ভক্ত সমাগমের নিরিখে কুম্ভের পরই গঙ্গাসাগরের স্থান। কিন্তু, বহুবার আবেদন সত্ত্বেও সাগর মেলাকে জাতীয় মেলার তকমা দেয়নি কেন্দ্র। এমনকী এই মেলার উন্নয়ন ও বিস্তারে কানাকড়িও দেয় না দিল্লির সরকার। কেন এই পক্ষপাতমূলক আচরণ কেন্দ্রর? মঙ্গলবার কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর এই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisment
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'কুম্ভমেলায় সব টাকা ভারত সরকার দেয়। কিন্তু এখানে এক পয়সাও দেয় না। কুম্ভমেলা যদি ওয়ান হয়, এটা টু পাওয়া উচিৎ। এটা কুম্ভের থেকে কোনও অংশে কম নয়। যদি কুম্ভমেলা ওদের সুয়োরানি হয়, গঙ্গাসাগর কি দুয়োরানি হয়ে গেল?'
এ দিন সাগরে গিয়ে গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মেলার তকমা দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, প্রতি বছর প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ এখানে আসেন। মমতার অভিযোগ, হারউড পয়েন্ট থেকে কচুবেরিয়া পর্যন্ত ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা বহু বছরের। কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হবে এই সেতু তৈরিতে। আমরা তাজপুর বন্দর করতে বলেছিলাম, যদিও ওরা কথা রাখেনি। আমাদের কাজ আমরাই করে নেব। টাকা পয়সা হাতে এলেই আস্তে আস্তে করব।'
গত কয়েক বছরের সাগর মেলাকে কেন্দ্র করে উন্নয়নের কাজ হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ' কুম্ভ মেলা রোড কানেকটেড, রেল কানেকটেড। কিন্তু এখানে জল পেরিয়ে আসতে হয়। সেই জন্যই সবাই বলে সব তীর্থ বার বার গঙ্গা সাগর একবার। কিন্তু আজ একবার যাঁরা গঙ্গাসাগরে এসেছেন তারা বারবার আসেন। আগে গঙ্গাসাগরে থাকার জায়গা ছিল না। এখন সব হয়েছে।'
প্রাকৃতিক দুর্যোগে গঙ্গাসাগরের বিস্তীর্ণ অংশের ক্ষতি হয়েছে। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই এই অংশের ক্ষতি হয়। কিন্তু প্রতিবার ঘুরে দাঁড়ায় সাগরদ্বীপ। আমফান, ইয়াশের পর আমরা চটপট করে উন্নয়নের সব কাজ করে দিয়েছি। তীর্থযাত্রী যাঁরা আসবেন, তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য সব ব্যবস্থা মেলা কমিটি করেছে।'