সকালে টুইটে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সামানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন। কেন্দ্রীয় সরকার কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভকারী কৃষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের ফোন থেকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন দিল্লি-সিঙ্ঘু সীমানায় অবস্থানরত বিক্ষোভাকারী কৃষকদের সঙ্গে এদিন কয়েক দফায় কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের বলেছেন, 'আপনাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছি। কৃষকদের জন্য আমি নিজেও ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। কৃষকদের পক্ষে একজোট হয়ে আওয়াজ তোলার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। কেন্দ্রীয় সরকার যতক্ষণ না পর্যন্ত এই কালা আইন প্রত্যাহার করছেন ততক্ষণ আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান। প্রয়োজনে আমরাও আপনাদের সমর্থনে লোক পাঠাব।'
একই সঙ্গে অত্য়াবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধের পক্ষেও সরব হওয়ার জন্য আন্দোলনকারী কৃষকদের আবেদন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।
এদিন সকালে টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, '‘কৃষি জমি জোর করে নেওয়া যাবে না এই দাবিতে ১৪ বছর আগে ২০০৬ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর, কলকাতায় আমি ২৬ দিনের অনশন কর্মসূচি শুরু করি। আমি শ্রদ্ধা জানাই সেই সমস্ত কৃষকদের যাঁরা কেন্দ্রের আনা কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন।' মোদী সরকার কাউকে কিছু না জানিয়েই নয়া কৃষি আইন পাস করেছে বলে অভিযোগ মমতার।
নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সরব তৃণমূল। পুজোর আগে রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে জোড়া-ফুল শিবির। গত কয়েক দিনে দেশজুডে় কৃষকদের বিদ্রোহ বড় আকার নিতে শুরু করেছে। এই প্রক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী টুইটে জানিয়েছিলেন, ‘কৃষকদের নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কৃষক বিরোধী বিলগুলো প্রত্য়াহার করুক কেন্দ্র সরকার। যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা রাজ্য় ও দেশজুড়ে অবিলম্বে আন্দোলনে নামব। প্রথম থেকেই আমরা এই কৃষক বিরোধী বিলগুলির বিরোধিতা করে আসছি।’
সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনই তৃণমূলের রাজনৈতিক উত্তোরণের ভিত্তি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে সেই কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলনকেই পুঁজি করতে মরিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো। এই প্রেক্ষাপটে মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব কৃষকদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে কথা, বারংবার তাঁদের সমর্থনের আশ্বাস বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন