পাহাড়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন সিএএ বিরোধিতার অন্যতম প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মিছিলে হাঁটার পর দার্জিলিঙের সভায় শাহকে নিশানা করে মমতার মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খালি বড় বড় কথা বলেন। আমরা নাকি মিথ্যা কথা বলছি! তাহলে আপনি সত্যিটা কী, সেটা বলুন। ওঁরা সকালে এক বলেন, আর বিকেলে আরেক কথা বলেন। আমাদের গালি দিয়ে দেশ খালি করবেন! এভাবে চলবে না’’। উল্লেখ্য, ‘সিএএ ইস্যুতে বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন’, মঙ্গলবার লখনউয়ে এ ভাষাতেই বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন অমিত শাহ।
সিএএ ইস্যুতে পাহাড়বাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘‘পাহাড়ে সিএএ, এনআরসি, এনপিআর হবে না। কেউ ভয় পাবেন না। আমরা পাশে আছি’’। এরপরই বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আপনারাও দেশের নাগরিক। কে কাড়বে আপনাদের নাগরিকত্ব? কে নাগরিক আর কে নাগরিক নন, সেটা কি বিজেপি ঠিক করবে? আপনাদের কাছে খালি ভোটের সময় টাকা নিয়ে আসে ওরা। পাহাড়ের মানুষ কি গরিব? আপনাদের সম্মান আছে, সেটা আপনারা দেখান’’।
দার্জিলিঙে মমতার পদযাত্রা। ছবি: পার্থ পাল।
আরও পড়ুন: আমি বিজেপির প্রশান্ত কিশোর নই যে ওঁদের বার্তা দেব: বৈশাখী
আরও পড়ুন: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব
বিজেপিকে দূষে মমতা এদিন আরও বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতির কী হাল! রোটি-কাপড়া-মকান দিতে পারছে না। ব্যাঙ্কে টাকা রাখলেও ভবিষ্যতে মিলবে কিনা জানা নেই। আগুন জ্বালানো, দাঙ্গা বাধানোই কাজ ওদের। এভাবে চলবে না। সকলকে শুধু ভয় দেখাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ জানালেই এজেন্সি দেখাচ্ছে। কথা বললেই বলছে পাকিস্তানি। আমরা তো হিন্দুস্তানি। আপনারা কেন এত পাকিস্তানের কথা বলছেন রোজ, পাকিস্তান কি আপনাদের বন্ধু?’’।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, সিএএ বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সোচ্চার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রীতিমতো রাজপথে নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে জনতার দরবারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে আলোচনার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমোকে চ্যালেঞ্জ জানান প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি। তবে শুধু মমতাই নন, সোমবার লখনউয়ের সভায় রাহুল গান্ধী, মায়াবতীদেরও একই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে শাহ সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘যতই বিরোধিতা করুন, সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না’’।