Advertisment

মমতা রাজ্যপালের দেখা হল, কথা হল না

কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এই সময় অনুষ্ঠান চলাকালীন বিক্ষিপ্তভাবে চিৎকার শুরু হয়ে যায়। তখনই মুখ্যমন্ত্রী সকলকে হাতের ইশারায় চুপ করতে বলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
governor, mamata banerjee

বিধানসভায় একই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েও কথা বললেন না মুখ্য়মন্ত্রী ও রাজ্যপাল।

একই জায়গায় এলেন প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের দেখা হল কিন্তু কথা হল না। বরং দু'জনে গাইলেন ভিন্ন সুর। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত পর্বে মঙ্গলবার অর্থাত্ৎ সংবিধান দিবসে বিধানসভার অনুষ্ঠান ভিন্ন মাত্রা যোগ করল বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisment

এদিন প্রথমবার বিধানসভায় যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজভবনের কোনও অনুষ্ঠানে এক মাস আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বিধানসভার এই অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত সময়ের আমন্ত্রণেও হাজির হয়েছেন ধনখড়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমেদকরের মুর্তিতে মালা দিয়ে বিধানসভার ভিতরে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় রাজ্যপালের। কিন্তু কেউ কারও সঙ্গে কথা বলা দূরে থাক, তাকাননি পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই নবান্নের সঙ্গে সংঘাত শুরু জগদীপ ধনখড়ের। সেই পর্বেই এদিন ভিন্ন মাত্রা যোগ হল বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে আছেন, এনআরসি চাই না’

এদিন জগদীপ ধনকড় তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এই সময় অনুষ্ঠান চলাকালীন বিক্ষিপ্তভাবে চিৎকার শুরু হয়ে যায়। তখনই মুখ্যমন্ত্রী সকলকে হাতের ইশারায় চুপ করতে বলেন। বক্তব্য শেষ হওয়ার পরেই যখন রাজ্যপাল বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান, তখনই 'জয় বাংলা' বলে চিৎকার করেন বেশ কয়েকজন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে একবারের জন্যও কথা বলেননি মমতা-জগদীপ। অথচ কালীপুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।

তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা না হলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। মমতা এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, "আমাদের সকলেরই সংবিধান অনুযায়ী চলা উচিত, আমি এটা বিশ্বাস করি। কিন্তু এখন সেটা চলছে না। আমার রাজ্যে রাজ্যপালের পদ অপব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যেও এমন হচ্ছে। আমি বলব, এটা করবেন না।" মমতার বক্তব্য, "রাজ্যপালের যা নিয়ম আছে, সেই মতো তাঁর চলা উচিত। তবে রাজ্যপাল তো সংবিধান দ্বারা নমিনেটেড পদ। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু ইলেক্টেড পদ। আমরা কারও দয়ায় আসিনি।" মহারাষ্ট্র প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "আমি মধ্যরাতে স্বাধীনতা পাওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু মধ্যরাতে চুপিচুপি সরকার গঠন, এ আমি শুনিনি! ফড়নবীশ ঠিকই করেছেন পদত্যাগ করে। ওঁর কাছে তো সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। ওঁর সরকার গঠন করাও ঠিক ছিল না। রাজ্যপালের উচিত ছিল সকলের কথা শোনার। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে এমনটাই হওয়া উচিত ছিল।"

Mamata Banerjee Governor
Advertisment