মোদীকে কুর্তা-মিষ্টি পাঠানো নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সিউড়ির সভা থেকে ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, কুর্তা-মিষ্টি পাঠানো নিয়েও রাজনীতি করছেন মোদী। উল্লেখ্য, বুধবার (গতকাল) অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, মমতাদি বছরে এক-দু’বার কুর্তা-মিষ্টি পাঠান। ভোট চলাকালীন মোদীর এহেন মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে মমতা আজ বলেন, ‘‘কুর্তা পাঠাই তো কী হয়েছে? অনেককেই তো পাঠাই। তাতে দোষের কী! সৌজন্য ও রাজনীতি আলাদা’’।
ঠিক কী বলেছেন মমতা?
সিউড়ির সভায় মমতা বলেন, ‘‘এই যে মোদীবাবু একটা ইন্টারভিউতে বলেছেন, আমি নাকি তাঁকে কুর্তা পাঠাই, দোষটা কীসের! আমার বিশ্ব বাংলা দোকান রয়েছে...তাঁতিরা কাজ করেন...তাঁরা আমায় তৈরি করে দেন, সেই জিনিস শুধু মোদীকে নয়, অনেককেই পাঠাই। ওঁরা বলে দেন, আমরা বলি না। আমরা নববর্ষে উপহার পাঠাই, দুর্গাপুজোয় পাঠাই। উনি তো নিজের নাম বলেছেন, সকলকে পাঠাই।। আমরা তো বলি না। সৌজন্য ও রাজনীতি আলাদা। আমি তো সবার জন্মদিনে চিঠি পাঠাই, আপনার জন্মদিনেও পাঠাই। কারও মৃত্যুকামনা তো করি না। সকলের শুভকামনা করি। সৌজন্যকে নিয়ে মার্কেটিং করছেন। ইমেজ তৈরি করছেন। তাহলে দেখুন, আপনাকে কত ভদ্রতা করি বলুন, তবুও রোজ চমকান। রোজ গুন্ডা বলেন’’।
আরও পড়ুন: অর্জুন গড়ে ‘মিত্র শক্তি’র পরীক্ষা, প্রার্থী হয়ে ‘আপ্লুত’ মদন
‘‘বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে?’’ গতকাল অক্ষয় কুমারের এহেন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হাসতে হাসতে ফুরফুরে মেজাজে মোদী বলেন, ‘‘এখন যদি বলি, ভোটের সময় আমার হয়রানি হবে, লোকসান হতে পারে। মমতাদি আজও বছরে একটা-দুটো কুর্তা নিজে পছন্দ করে পাঠান আমায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সময় বাঙালির মিষ্টি নিয়ে কথা হয়। উনি ঢাকা থেকে আমার জন্য বিশেষ বাঙালি মিষ্টি পাঠান। এটা জানতে পেরে মমতাদিও আমায় বছরে এক-দু’বার বাঙালার মিষ্টি পাঠান।’’
আরও পড়ুন: সিপিএম তিন নম্বর শত্রু, তবু জোটের আলোচনা চান সোমেন মিত্র
মোদীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বুধবার মমতার ভাইপো তথা ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যদি (উপহার) পাঠিয়ে থাকেন, তাহলে আগে কেন বলেননি? অক্ষয় কুমারের কাছে গিয়ে বলতে হচ্ছে কেন? বাংলার জনসভাগুলোতে বলতে পারছেন না কেন? কারণ, দিল্লি থেকে মিথ্যে কথা বলছে, আর বাংলায় এসে আরেক কথা বলছে"। তবে ভাইপো অভিষেক যাই বলুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ফের স্পষ্ট করে দিলেন যে তিনি রাজনীতি করলেও সৌজন্যের রাস্তাতেই রয়েছেন।