লখনউতে বসে 'ভাই' অখিলেশের সমর্থনে চালিয়ে ব্যাট করলেন 'দিদি' মমতা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিশানা করলেন বিজেপিকে। তোপ দাগলেন যোগীর আমলে উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা, নারী নিরাপত্তা নিয়ে। তুলে ধরেন হাথরাস, উন্নাওয়ের প্রসঙ্গ। লখনউয়ের মসনদ দে বিজেপির স্লোগান 'ইসবার তিনশ পার'। যার পাল্টা মমতা বললেন, 'আবকি বার অখিলেশ ৩০০ পার'। উত্তরপ্রদেশেও 'খেলা' শুরু হয়ে গিয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অখলেশকে 'ভাই' বলে সম্বোধন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উত্তরপ্রদেশের ভোটারদের কাছে তাঁর আবেদন, 'বিজেপিকে হারাতে আমার ভাইকে ভোট দিন।' প্রচারে তাঁর দাবি, 'উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির চলে যাওয়া মানে গোটা দেশ থেকে বিদায় নেওয়া।'
এ দিনই উত্তরপ্রদেশে জয়ের লক্ষ্যে অমিত শাহ বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করেন। যা নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'শুনেছি আমি আসছি বলে আজ বিজেপি ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেছে। ওটা ম্যানিফেস্টো নয়, ওটা মানিফেস্টো। আগে করে দেখান। তারপর মুখে বড় বড় কথা বলবেন।' তাঁর সংযোজন, ' শুনেছি আপনারা নাকি স্কুটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খালি প্রতিশ্রুতিই দিচ্ছেন। আপনারা খালি মিথ্যা কথা বলেন। টিকা দেওয়ার জন্য টাকা কোথা থেকে আসছে? যোগীজি তো বলেছেন সাত কোটি টাকা খরচ করেছেন। সেই টাকা কি পিএম কেয়ারস থেকে আসছে? ওই তহবিলের তো আবার অডিট হয় না।'
যোগী প্রশাসনের তুলোধনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, 'উত্তরপ্রদশে গুলির রাজত্ব চলে। বিজেপি ক্ষমতায় থেকেও গুলির রাজনীতি করছেন। এখানে মা-বোনেদের খুব খারাপ অবস্থা।' হাথরাস-উন্নাওয়ের কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, 'হাথরাস-উন্নাওয়ের মতো ঘটনার জন্য আপনাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ইতিহাস এই ঘৃন্য ঘটনা মনে রাখবে। আগে ক্ষমা চান, তারপর ভোট চাইবেন।'
উত্তরপ্রদেশবাসীকে সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, 'এ রাজ্যে নতুন সূর্য আনতে পারবে একমাত্র অখিলেশ। ওঁকে ভোট দিয়ে জেতান।বিজেপিকে কে দেশ থেকে হটানোর কাজটা আপনারাই শুরু করুন।'
আগামী ১৫ তারিখ মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে প্রচারে যাবেন তৃণমূল নেত্রী।