বঙ্গে ভোটের দামামা বাজতেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে তৎপর শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। তবে বরাবরের মতো সবার প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ভোটযুদ্ধ এগিয়ে থাকছে শাসকশিবির তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, বুধবারই প্রথম ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম থাকতে পারে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন, নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হতে চান তিনি। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ মার্চ, শিবরাত্রির দিন নন্দীগ্রাম আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন মমতা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে নজিরবিহীন ভাবে ৮ দফায় ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ। তাই সব ঠিক থাকলে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হিসাবে থাকতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ১১ মার্চ তমলুকের মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে সেদিনই আবার শিবরাত্রি।
এদিকে, পদ্মশিবিরের তরফে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীকে দাঁড় করানোর ইঙ্গিত মিলছে। আগেই শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, নন্দীগ্রামে মমতাকে অন্তত ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন। প্রার্থী যেই হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেনই, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু শুভেন্দুকে বিজেপি নন্দীগ্রামে প্রার্থী করলে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন শুরুতেই জমে যাবে, বলছে রাজনৈতিক মহল।
একইসঙ্গে, নন্দীগ্রাম আসন আইএসএফ-কে ছেড়ে দিতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট। সেক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে পারে আব্বাস সিদ্দিকির দল। তবে ত্রিমুখী লড়াই হলে শুধু সংখ্যালঘু ভোটের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। মন পতে সংখ্যাগুরুরও। সূত্রের খবর, তাই শিবরাত্রিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন পেশের দিন। এবার এটা শুধুই রাজনৈতিক গিমিক না এই কৌশল কতটা ফলপ্রসু হবে সেটাই সময়ই বলবে।