মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সভা করছেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের কথা জানালেন তিনি। বললেন, তৃণমূল বিক্ষোভকারীদের পাশে রয়েছে। অন্যদিকে, ছত্রধর মাহাতো প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন নেত্রী।
এক নজরে মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য-
'২০২১ আমাদের। ২০২১ বাংলার। জনগণ আছে সঙ্গে তাই তৃণমূল ২১-শে আসছে বঙ্গে।' বিধানসভা ভোটের সুর চড়িয়ে বললেন তৃণমূল নেত্রী।
'করোনায় টাকা দেয়নি, কোন মুখে হিসেব চাইছে কেন্দ্র? এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি।'
'মার খেতে খেতে এসেছি এই জায়গায়। তৃণমূলকে কিনতে পারবে না বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস ঠুনকো নয়। বহিরাগতদের বাংলা দখল করতে দেব না।'
'বহিরাগত কারা আসছে, নজরে রাখুন। পাড়ায় পাড়ায় নজর রাখুন। বিজেপি তুমি তৃণমূল কংগ্রেসকে কিনতে পারবে না'
'বাংলা গুজরাট হবে না। বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না।'
'যদি কেউ মনে করে তৃণমূলকে ভোটের আগে ব্ল্যাকমেল, বার্গেনিং করে জব্দ করবে, বিপদে ফলবে তাহলে সেটা হবে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। তৃণমূলকে টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। বিজেপি ও ওদের বন্ধুদের সতর্ক করছি।' মেদিনীপুরের সভায় নাম না করে দলের 'বিদ্রোহী'দের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'আমি সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম ভুলিনি। বিজেপি হয় কৃষক বিল প্রত্যাহার কর, নয়তো ভারত ছাড়।'
'নবান্নের ধান ছুঁয়ে শপথ করলাম। কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছো। দাঙ্গা লাগাচ্ছ, মিথ্যে বলছ, দল ভাঙছ, জেনে রেখো, তোমাদের উত্খাতের সময় এসেছে। আগে নিজেদের বাঁচাও। হয় কৃষি বিল প্রত্যাহার কর, নয়তো বিজেপি সরকার ভারত ছাড়।'
এই মেদিনীপুরের মাটিতেই আন্দোলন হয়েছে। আমরা অতীত ভুলি না। আজ মেদিনীপুরের সব বিধায়করা এসেছেন। গোটা ভারতের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছি। ঘোষণা মতাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
'ছত্রধর মাহাতোকে সমাবেশে আসতে বলেছিলাম। ওকে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ছত্রধর সে সময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিল।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন