রথের রশিতেও রাজনীতির রেশ। প্রতি বছরের মতো এবারও ইসকনের রথযাত্রার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন চমক ছিল অভিনেত্রী তথা 'বিশেষ অতিথি' তথা সাংসদ নুসরত জাহানের উপস্থিতি। অন্যদিকে, আজ মহাজাতি সদনে রথযাত্রা উৎসবে সামিল হন মুকুল রায়, অরবিন্দ মেনন-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা। দূর্গাপুজোর পর এবার রথযাত্রার মতো উৎসবে উপস্থিত থেকে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন, কাটমানি ইস্যুতে কোণঠাসা তৃণমূল, বিশেষ ‘উদ্যোগী’ বিজেপি
আজ মধ্যকলকাতার অ্যালবার্ট রোডের ইসকন মন্দিরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইসকন কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে স্বামী নিখিল জৈনকে নিয়ে হাজির হন নুসরতও। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ধর্ম মানে সর্বজনীন, বিশ্বজনীন। ধর্মের জয় হোক, সম্প্রীতির জয় হোক, ঐক্যের জয় হোক"। তবে এদিন রথযাত্রার সূচনা পর্বের শেষে মমতার মুখে শোনা যায় 'জয় জগন্নাথ', 'জয় হিন্দ', 'জয় বাংলা' স্লোগান। এদিনের রথযাত্রা উৎসবে শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের সাংসদ নুসরত জাহান। সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনার জবাবে তিনি এদিন বলেন, "আমি ভিত্তিহীন কোনও কথার উত্তর দিতে রাজি নই। আমি আমার ধর্ম জানি। আমি জন্মসূত্রে মুসলিম এবং এখনও মুসলিমই আছি। এটা যার যার বিশ্বাস। সেটা নিজের মনে উপলব্ধি করুন, মাথায় নয়"।
অন্যদিকে, আজ মহাজাতি সদন এলাকায় রামমন্দিরের সামনে থেকে রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রশিতে টান দিয়ে রথের সঙ্গেই পা মেলান রাজ্য বিজেপির নেতারা। সেই পদযাত্রায় মুকুল রায় বলেন, "বাংলায় এখনও অশুভ শক্তি আছে। আমি চাই সেই অশুভ শক্তির বিনাশ হোক"। মুখ্যমন্ত্রীর মাহেশ রথযাত্রায় উপস্থিত থাকা নিয়ে তিনি বলেন, "এটা ওঁর ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আর ওঁর তো হেলিপকপ্টার আছে। তাই ওঁর ইসকন থেকে মাহেশ যেতে কোনও অসুবিধা হয় না, পয়সা খরচা হয় না, সরকারি পয়সাতে যাতায়াত করেন।"