এদিন পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরসভা সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাবে ঝালদার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল দাঁড়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর চোখ ছানাবড়া। নিমেষে মমতা বলেন, 'এই আপনার এত বড় ভুঁড়ি কেন?'
সাদা আদ্যির পাঞ্জাবি পরা সুরেশ প্রশ্ন শুনেই বলেন, 'দিদি, না আমার সুগার আছে, না আমার প্রেশার আছে।' অর্থাৎ তাঁর যে কোনও রোগ নেই সেটাই 'দিদি'কে স্পষ্ট করে দেন ঝালদার চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যানের জবাব অবশ্য মনপসন্দ হয়নিমুখ্যমন্ত্রীর। পাল্টা মমতা বলেন, 'ডেফিনেটলি কিছু তো আছেই। নিশ্চয়ই লিভারটা বড়। কিছু না থাকলে মধ্যপ্রদেশ এত বড় হয় কী করে?'
মুখ্যমন্ত্রীকে তুষ্ট করতে সপরেশ তখন বলেন, 'দিদি আমি প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ব্যায়াম করি।'
তখন মমতা জানতে ছান যে, 'দেখান তো কী ব্যায়াম করেন'
সুরেশ ততক্ষণে শুরু কে দিয়েছেন ব্যায়াম। দেখা যায়, নাকের একদিক বন্ধ করে অন্যদিক দিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন ঝালদার চেয়ারম্যান। যা দেখেই মমতা বলেন, 'এ তো আপনি প্রাণায়ম করছেন।' এবার সুরেশ পেট নাচানোর কসরত করতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ততক্ষণে হাসি ধরেছে। তিনি বলেন, 'এ তো কপালভাতি করছেন! কতবার করেন দিনে?'
সুরেশের সটান জবাব, 'এক হাজার বার দিদি।'
পরখ করতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এক হাজার বার? হতেই পারে না। কই এখন করে দেখান তো দেখি।' সুরেশ তখন অপ্রস্তুত। জানতে চাওয়ার ঢঙে বলেন, 'দিদি, এখনই দেখাতে হবে?' মমতা বলেন, 'হ্যাঁ, স্টেজে এসে দেখান। এক হাজার বার এটা করতে পারলে আমি আপনাকে দশ হাজার টাকা দেব!'
ভরা দুপুরে সময়কে ঢাল করে তখন কোনও ক্রমে মমতার হাত থেকে বাঁচার তাগিদ সুরেশের। বলেন, 'দিদি, এটা বিকেল পাঁচটার আগে করা যায় না!'
প্রশাসনিক সভা শেষ ঝালদার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, 'আমার ওজন ১২৫ কিলো। তাই আমার ভালো চেয়েছেন বলেই দিদি ভুঁড়ি কমাতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে এক মাস এখন সেদ্ধ ভাত খেতে বলেছেন।'