গণভোট নয়, নাগরিকত্ব সংশোধিনী আইন ও এনআরসি নিয়ে দেশে ওপিনিয়ন পোল চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চ থেকে গণভোটের দাবি জানানোর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এ ব্যাপারে নয়া ব্যাখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী বলেন, ‘‘আমি বলেছি ওপিনিয়ন পোল করতে। আমি বলেছি, রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশনের কথা, কারণ ওরা নিরপেক্ষ সংস্থা’’।
উল্লেখ্য, সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গণভোটের দাবি জানিয়েছিলেন মমতা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গণভোটের দাবির নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বও। এমন প্রেক্ষিতে মমতার মুখে গণভোটের বদলে ওপিনিয়ন পোলের কথা নয়া মাত্রা পেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: জন্মদিন এবার ‘নাগরিক অধিকার দিবস’, একঝাঁক প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা মমতার
বৃহস্পতিবার গণভোট নিয়ে কী বলেছিলেন মমতা?
মমতা বলেন, ‘‘বুকের পাটা থাকলে একটা ভোট হোক। সারা দেশে গণভোট হোক সিএএ ও এনআরসি নিয়ে। আপনারা (মোদী সরকার) করবেন না, রাষ্ট্রসংঘ করবে। রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশন, আর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি হোক। আমরা চাই, তারা ভারতবর্ষে গণভোট করুক। দেখা যাক এই আইন কতজন মানছেন আর কতজন মানছেন না। যদি না মানেন, তাহলে বলুন ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন। আগুন নিয়ে খেলবেন না’’।
অন্যদিকে, সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে গত ক’দিন ধরে মোদী-শাহের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানানোর পর আজ প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মোদীকে আর্জির সুরে মমতা বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। জেদাজেদি করবেন না। আপনি এই আইন বাতিল করুন, যাতে অশান্তি দূর হয়ে যায়। মানুষের ভিতরে আগুন জ্বলছে। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, কোনও দলের প্রধানমন্ত্রী নয়’’। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মোদীর পোশাক-মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সোচ্চার হয়েছিলেন মমতা। পাশাপাশি আধার কার্ড মন্তব্য নিয়ে শাহকেও একহাত নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।