জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ইস্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার পথে নামলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত এই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন মমতা স্বয়ং। প্রসঙ্গত, এনআরসি ইস্যু নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল। সেই আবহেই বাংলায় নাগরিক পঞ্জি রোখার দাবিতে জনমত গঠনেই ফের পথে নামছেন মমতা, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। তৃণমূল সূত্রের খবর, মিছিল থেকে এনআরসি-র পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন নীতিরও বিরোধিতা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৩১ অগাস্ট আসামে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ। এরপরই এনআরসি বিরোধিতায় নেমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। সম্প্রতি বিধানসভায় এনআরসি নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "বাংলায় এনআরসি হবে না"। এবার সেই বিরোধিতাকেই আরও বৃহত্তর রূপ দিতে আজ সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত মিছিল করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি নিয়ে পথে নামার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি, রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে এই ইস্যুতে প্রতিবাদ সমাবেশ করারও ডাক দেন। তৃণমূলের অন্দরের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন এই মিছিলে থাকবেন দলের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরাও। মিছিল উপলক্ষে শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত রাস্তার পাশে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।
বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই কী পথে নামছেন মমতা? অলঙ্করণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
উল্লেখ্য, আসামে নাগরিক পঞ্জি তালিকা প্রকাশের দিনই এনআরসি ইস্যু নিয়ে বিরোধিতা করে টুইটারে গর্জে ওঠেন মমতা। ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা জানান, “যাঁরা এই প্রক্রিয়ার কারণে ভুগছেন, আমি তাঁদের পাশে আছি।” টুইট করে নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকাদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, “এনআরসির নামে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে যারা, তাদের ব্যর্থতাই এবার সামনে এসেছে। দেশের মানুষকে উত্তর দিতে হবে।” এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেত্রী। ঝাঁঝালো ভাষায় তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিকে বড় করে দেখলে এমনই হয়। খারাপ লাগছে আমার বাংলাভাষী ভাইবোনের জন্য। যাদের এই এনআরসির জাঁতাকলে পড়ে ভুগতে হচ্ছে।” তবে এবার আর কথায় নয়, বাংলায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই রাস্তায় নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।