রাজনীতিতে তরজা যাই চলুক। সৌজন্যবোধে কেউ পিছিয়ে নেই। রবিবার জেপি নাড্ডার করোনা পজিটিভের খবর শুনেই তাঁর সুস্থতা কামনা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার করোনা আক্রান্তের খবর শুনে টুইটে তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে সুস্থ হয়ে ওঠার আবেদন জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি টুইটে বলেন, “এই মাত্র জানতে পারলাম জেপি নাড্ডার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি এই কামনা করছি। শুভেচ্ছা রইল আমার। আমার প্রার্থনা রইল তাঁর ও পরিবারের প্রতি।”
রবিবারই নিজের করনা পজিটিভের খবর টুইট করেন নাড্ডা। এদিন টুইটে তিনি বলেন, “করোনার প্রাথমিক লক্ষণগুলি পাওয়ার পরে, আমি পরীক্ষাটি করেছিলাম এবং রিপোর্টটি ইতিবাচক এসেছে। করোনার প্রাথমিক লক্ষণগুলি পাওয়ার পরে, আমি পরীক্ষাটি করেছিলাম এবং রিপোর্টটি ইতিবাচক এসেছে। আমার স্বাস্থ্য ঠিক আছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে হোম আইসোলেশনের সমস্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করছি। আমার অনুরোধ, গত কয়েকদিনে কেউ যদি সংস্পর্শে এসে থাকেন, দয়া করে নিজেকে আইসোলেট করুন এবং করোনা পরীক্ষা করুন।"
উল্লেখ্য, জেপি নাড্ডার বঙ্গ সফর ও কনভয় হামলা ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত এসেছিল প্রকাশ্যে। নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের তিন আইপিএস আধিকারিককে ডেপুটেশনে চায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর আগে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দিল্লিতে তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁদের দিল্লিতে যেতে বলা হয়৷ সাম্প্রতিক কালে যা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ৷
এর আগেও মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ভার্চুয়াল সভায় জেপি নাড্ডা বলেন, “মমতা সরকারকো উখারকে ফেক দেনা হ্যায়। মমতার আমলে অসহিষ্ণুতা, অরাজকতার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ কি এই ভাষা শিখিয়েছেন! বাংলা সংস্কৃতি, সভ্যতার জননী, তাঁকে নিচে নামিয়েছেন...ইত্যাদি ইত্যাদি।’ অবশ্য সেসব প্রেক্ষিতে সরবও হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও দল। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বিজেপি বাংলার দল নয়, দিল্লিতে গিয়ে বসে তাকুক, গুজরাটে গিয়ে বসে থাকুক।”
কিন্তু সব তরজার মাঝেও এই টুইট সৌজন্য অন্য মাত্রা নিয়ে আসল বিধানসভা নির্বাচন পূর্ববর্তী বঙ্গ রাজনীতিতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন