New Update
Advertisment
বঙ্গ বিজেপির গেরুয়া শিবিরের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। এবার বঙ্গে বিজেপি কর্মী খুন এবং কাটমানি নিয়ে তরজায় সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকেই দুষলেন কৈলাশ। শনিবার হুগলীতে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজয়বর্গীয় বলেন, "বাংলায় পুলিশ তৃণমূলের পক্ষে কাজ করছে। আমাদের দলের কর্মীদের মারধর করে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ পুলিশ আমাদের কর্মীদেরই গ্রেফতার করছে। পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটা এখন একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী নিজেই"।
আরও পড়ুন: কী করতে হবে, কী করা যাবে না, নির্দেশ দেবেন মমতা
সভার আগে হুগলির তারকেশ্বর মন্দিরে পুজোও দেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমি প্রার্থনা করছি যেন তৃণমূলে সুবুদ্ধির উদয় হোক। কাটমানি নিয়ে সব দায় মুখ্যমন্ত্রীর নিজের। সাত বছর ধরে এ বিষয়ে চুপ ছিলেন তিনি। এবার নিজেকে বাঁচাতে দলের কর্মীদের সামনে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি। এটা খুবই দুঃখজনক"।
অন্যদিকে, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে নিশানা করে তৃণমূলের হুগলী জেলার সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "যার ছেলে সরকারি আধিকারিককে আক্রমণ করে দলে সেই লোকের জায়গাই হওয়া উচিত না"। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় পুত্র আকাশ বিজয়বর্গীয় ইন্দোরের এক পুর আধিকারিককে ব্যাট দিয়ে বেদম প্রহারের পর পুলিশি হেফাজতেও ছিলেন বেশ কিছুদিন।
আরও পড়ুন: মমতার তোষণনীতিতেই বাংলার ক্ষতি: কেশরী নাথ ত্রিপাঠী
সেই প্রসঙ্গ টেনেই দিলীপ যাদবের বক্তব্য, "বিজেপির প্রতিটি লোক দুর্নীতিগ্রস্ত। সেই কারণে নিজেদেরকে আড়াল করতে এখন আমাদের দিকে আঙুল তুলছেন তাঁরা। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের দলের কর্মীরা সবাই মানুষের জন্য এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে। আমরা দেখেছি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলে পুর আধিকারিককে মেরে জেলেও যান। যার ছেলে এসব করে তাঁর থেকে কোনও জ্ঞান শুনতে আমরা রাজি নই"।