রাজ্যসভায় জোড়া কৃষি বিলের বিরোধিতার জের, নিয়মবিরুদ্ধ আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন সহ বিরোধী আট সাংসদকে। এরপরই টুইটে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের মনোভাবকে 'স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট মনোভাবাপন্ন' বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী বিলের বিপক্ষে সংসদের ভিতর-বাইরে তৃণমূলের প্রতিবাদ জারি থাকবে।
টুইটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করা আটজন সাংসদের সাসপেনশনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং স্বৈরাচারী সরকারের মানসিকতাকে তুলে ধরছে। এরা গণতান্ত্রিক নিয়ম ও নীতিকে সম্মান করে না। আমরা মাথা নত করব না এবং সংসদ ও রাস্তায় নেমে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব।'
রবিবার রাজ্যসভায় জোড়া কৃষি বিলের বিরোধিতা করেছিলেন বিরোধী কংগ্রেস, তৃণমূল, অকালি দল, ডিএমকি, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা। সেই সময় তুমুল হইহট্টগোল হয়। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অধিবেশন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলের সাংসদরা। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিংয়ের কাছ থেকে রাজ্যসভার রুল বুক ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের বিরুদ্ধে। বিরোধী সাংসদরা ডেপুটি চেয়ারম্যানের মাইক্রোফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এই কারণে সোমবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন- সহ রাজ্যসভার আট বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আগামী এক সপ্তাহের জন্য বিরোধী দলের আট সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু এদিন অভিযুক্ত বিরোধী সাংসদদের শাস্তি ঘোষণা করেছেন।
তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন ও দোলা সেন ছাড়াও রাজ্যসভার সাসপেন্ড হওয়া বাকি ছ'জন সাংসদ হলেন, কংগ্রেসের রাজু সাতাভ, রিপুণ বোরা ও সৈয়দ নাজির হুসেইন, সিপিএমের কে কে রাগেশ ও এলামারাম করিম এবং আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং। জানানো হযেছে, সভা চলাকালীন নিয়মবিরুদ্ধ ব্যবহারের জন্য অভিযুক্তদের এক সপ্তাহ সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন