কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা অব্যাহত। বাদল অধিবেশনে লোকসভার পর রবিবারই রাজ্যসভায় পাস হয়েছে কৃষি বিল। যার বিরুদ্ধে সোচ্চার রাজ্যের শাসক দল। কৃষি বিল ঘিরে প্রতিবাদের জেরেই রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন ও দোলা সেন। বিজেপির দাবি, এই বিল পাসের ফলে তৃণমূল নেতাদের ৯০০ কোটি টাকার কমিশন পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তার জন্যই এই বিরোধীতা।
আসানসোলে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজবর্গীয় বলেন, 'কিষাণ মান্ডিতে চাষীরা সরাসরি উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন না। ফোঁড়েদের কাছে ওই পণ্য বিক্রি করতে হয়। ওইসব ফোড়ে আবার তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। নতুন আইনে আর এই পদ্ধতির ইতি ঘটানো হয়েছে। কমবে ফোড়েরাজ। তৃণমূলের আয় উপায়ের ৯০০ কোটি টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। কাট মানি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার এই কৃষি বিলের বিরোধী।'
আরও পড়ুন- মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা
কৃষি বিলের প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিলতে 'কৃষক বিরোধী' বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, 'এর ফলে দেশে খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে।' সংসদ থেকে কলকাতার রাজপথ, বাংলাজুড়ে, বিজেপি সরকারের তৈরি কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের দাবি, সিএএ-এর মতই বিরোধী শিবির কৃষি বিল নিয়েও দেশবাসীকে ভুল বার্তা দিতে চাইছে। তাঁর কথায়, 'নয়া কৃষি বিল দেশের কৃষকদের স্বার্থের করা হয়েছে। কৃষকদের স্বাধীনতা দিয়েছে এই বিল। দেশের যে কোনও জায়গায় যেখানে বেশি দাম পাবেন, সেখানেই ফসল বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু সিএএ-এর মতোই ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।'
‘কাটমানি’র জন্যই ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ রাজ্য সরকার হাতে চাইছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা বিজয়বর্গীয়র। তাঁর কথায়, 'কিষাণ সম্মান নিধির টাকা সরাসরি চাষির অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। রাজ্যে কাটমানির সরকার চলছে।। তাই এখানে তা চালু করা হয়নি।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন