পাহাড় ছাড়ার আগে বৃহস্পতিবার শিশুদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে শিশুদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে কার্শিয়াং সার্কিট হাউজ থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছুটা পথ হাঁটেন। এরপর মহানদীর কাছে একটি চায়ের দোকানে গিয়ে বসেন। চায়ের দোকানেই বসেছিল বেশ কয়েকটি শিশু। চায়ে চুমুক দিতে দিতে শিশুদের সঙ্গে আড্ডায় মাতেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের চকোলেট দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গোয়া রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সন্দীপ সরকার
Advertisment
বেশ কিছুক্ষণ সেই চায়ের দোকানে সময় কাটানোর পর ফের সার্কিট হাউজে ফিরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাস্তার ধারে জড়ো হওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সমস্যার কথা শুনে নেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এখন গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি। সন্ধ্যায় গিয়ে পৌঁছব। পরের মাসে আবার পাহাড়ে আসব। যতটা পেরেছি করেছি পাহাড়ের জন্য।"
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফর নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এদিন জলপাইগুড়িতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা শিখে আসুন। কিছুদিন ঘুরে আসুন। বিচে ঘুরুন, হাওয়া বদল করুন। সবথেকে বড় কথা, বিরোধীদের সঙ্গে গণতন্ত্রে কী ধরনের আচরণ করতে হয় তা বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়ায় গিয়ে শিখে আসুন। শেখার তো কোনও বয়স নেই।'
জলপাইগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ। ছবি: সন্দীপ সরকার
সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী একটা ভোজের আয়োজন করেছেন। মনে হচ্ছে সবাইকে খাইয়ে দলে নিয়ে নেবেন। আজকাল পাগল না হলে কেউ তৃণমূলে যায় না। গোয়া একটা ছোট রাজ্য। ওঁরা মনে করছেন, যা টাকা পয়সা কামিয়েছি তা নিয়ে গিয়ে বিধায়কদের কিনে সরকার গড়বেন। গোয়ার মানুষের মাথা রাখাপ হয়নি। তাঁরা চিঠি দিয়ে বলেছেন, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে নেই। ওঁকে দেখলে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছেন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন